ভোলার লালমোহন উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর ওপরে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত গৃহবধূ সুরমা আক্তারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গৃহবধূ সুরমা আক্তার উপজেলার চর ছকিনা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ আলী সরদার বাড়ির ফারুকের মেয়ে।
গত তিন বছর আগে তার সাথে একই বাড়ির কাশেমের ছেলে রিপনের সাথে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের পর মেয়ে জামাই যাতে ভালো থাকে সেজন্য ব্যবসা বাণিজ্য করতে জামাই রিপনকে ১ লক্ষ টাকা দেন। এবং মেয়ের সাথে স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রয়োজনীয় মালামাল দিয়ে তুলে দেয় সুরমা বাবা দিনমজুর ফারুক।
কিন্তু বিয়ের পর কিছুদিন যেতেই জামাই সুরমার ওপর শুরু করে বিভিন্ন রকম নির্যাতন। পর আবারও সুরমার পিতার নিকট থেকে যৌতুকলোভী রিপন ও তার পরিবার পুনরায় ১ লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
দরিদ্র সুরমার বাবা ফের যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মেয়ের ওপরে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
ফলে গত ৩ এপ্রিল সকাল ৭ টার সময় যৌতুকের টাকা না আনতে পারায় কথা কাটাকাটির মধ্য দিয়ে সুরমাকে বেদম মারপিট শুরু করে রিপন ও তার মা। মারতে মারতে বলেন টাকা যদি না আনতে পার তাহলে তোর জীবন রেখে কি লাভ।
তোকে মেরে ফেলে অনেক টাকা যৌতুক নিয়ে আবার নতুন করে বিয়ে করবেন রিপন।
পরে মার খেয়ে সুরমা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ার খবর শুনে ভাই চিকিৎসার জন্য আনতে গেলে তাকে (বোন) দিবে না বলে জানিয়ে দেন শ্বশুর পরিবার।
এমনকি তারাও কোন চিকিৎসা না চালিয়ে সুরমাকে ঘরে আটকিয়ে রেখে আরও নির্যাতন করেন।
এই খবর শুনে ঢাকা থেকে সুরমার বাবা মা ছুটে এসে মেয়েকে অন্ধকার ঘর থেকে উদ্ধার করে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত সুরমা লালমোহন হাসপাতালে ৪১নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এই ঘটনায় সুরমার স্বামী রিপন ও শ্বাশুড়িসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
শিরোনামভোলা