বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ০৮ অক্টোবর ২০১৬
বরিশালঃ মাসের পর মাস কথিত স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নগরীর রসূলপুরে ভাড়া বাসায় রেখে ধর্ষন ও নির্যাতিত হয়েছে কাজের মেয়ে সিমা ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষীতা কোতয়ালী মডেল থানায় গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিলে তাকে ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে রাখা হয় এবং এই ঘটনায় এস.আই কামরুন নাহার বাদী হয়ে ধর্ষনকারী ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানায় এস.আই সত্য রঞ্জন আসামি গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছেন।
সিমা থানায় যাওয়ার খবর শুনে আসামীরা অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছেন, প্রকৃত ঘটনা জানতে সিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সিমা পুলিশকে জানায়, প্রধান আসামী কামাল মুন্সীর বড় ভাই টিপু বেশ কয়েক দিন পূর্বে কামালকে মারধর করেছে পাশাপাশি কোন ধরনের নির্যাতন করতে নিষেধ করেছিলেন তিনি । ঘটনার প্রধান স্বাক্ষী হিসাবে প্রধান আসামীর বড় ভাই টিপুকেই স্বাক্ষী মেনেছেন তিনি ।
গত বুধবার মামলার তদন্দকারী কর্মকর্তা এস.আই সত্য রঞ্জন ভিকটিমের কথিত মতে স্বাক্ষী টিপুকে থানায় ডেকে এনে স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন।
এ বিষয় এস.আই সত্য রঞ্জন বলেন, প্রধান আসামী কামাল মুন্সীর বড় ভাই টিপু তার ভাইয়ের অপকর্মের কথা স্বাক্ষ দিয়ে বলেছেন কয়েক দিন পূর্বে তার ভাইকে তিনি বকা-জোকা করেছেন এবং আইনগতো ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে সহায়তা করবেন তিনি ।
জানাযায়, নগরীর কাউনিয়ার এলাকার বাসিন্দা কামাল মুন্সী ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করে, সেখানে এক বাড়িতে কাজের বুয়ার কাজ করতো এই সিমা আক্তার। এই সুবাদে পরিচয় ঘটে , এক পর্যায়ে পুসলিয়ে গত মার্চ মাসে বরিশাল এনে নগরীর রসুলপুরে আরেক শ্রমিক সিরাজ ফকিরের বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করে।
ভিকটিম সিমা তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায় , এছাড়া আর কিছু বলতে পারেন না তিনি ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সিমাকে নির্যাতন করলে সিমা মডেল থানায় গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।