বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নে দরিদ্র জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিজিএফ কার্ডধারী জেলেদের পাশাপাশি এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন খোদ ইউপি সদস্য। ইলিশ আহরনে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন দরিদ্র জেলেদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার ও বুধবার ওই চাল বিতরণকালে সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ৪০ কেজির পরিবর্তে দেয়া হয়েছে ৩৩ থেকে ৩৪ কেজি করে চাল।
এমন অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বুধবার বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে দোয়ারিকা-মানিককাঠির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শাহিন মাহমুদের নেতৃত্বে সংক্ষুব্ধ জেলেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
দোয়ারিকা-মানিককাঠি গ্রামের ভিজিএফ কার্ডধারী আবুল চাপরাসি, খোকন বিশ্বাস, আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর ও মোতাহারসহ আরও অনেক জেলেরা জানান, বুধবার তাদের প্রত্যেককে ৪০ কেজির স্থলে ৩৩ থেকে ৩৪ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নে পরিষদে চাল মাপার জন্য ডিজিটাল মেশিন থাকলেও চুরি করার জন্য সেটা বন্ধ রেখে বালতি মেপে ওই চাল দেয় চেয়ারম্যানের লোকজন।
এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে রহমতপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহিন মাহমুদ আরও বলেন- রহমতপুর ইউনিয়নের ৪০৮ জন কার্ডধারী জেলেদের ওই ভিজিএফ চাল গোডাউন থেকে আনার পথেই বকুলতলা এলাকায় ইমরুলের ইটভাটার অদূরে গাড়ি থামিয়ে কয়েক হাজার কেজি চাল সরিয়েছেন চেয়ারম্যানের পিএসখ্যাত তার খাস লোক বুলবুল।
তবে এ অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা বুলবুল আহমেদ সিকদার বরিশালটাইমসকে বলেন, শাহিন মাহমুদসহ পরিষদের কয়েকজন মেম্বার ২৫ কেজি করে চাল দিয়ে বাকিটা বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এখন এসব অপপ্রচার করছে তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ বলেন, গোডাউন থেকে প্রায় সাড়ে ১৬ মেট্রিক টন চাল আনতে ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা পরিবহন খরচ হয়েছে। তাছাড়া কার্ডছাড়া যেসব গরীব মানুষ এসে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকে তাদের খালি হাতে ফেরানো যায় না। তাই প্রত্যেকের ভাগ থেকে মাত্র ২ কেজি কমিয়ে মাপা ৩৮ কেজি করে চাল দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিত হাওলাদার বরিশালটাইমসকে জানান, এক ইউপি সদস্যসহ কতিপয় জেলেরা আমার দপ্তরে এসে অভিযোগ করার সাথেসাথেই অফিসার পাঠিয়ে ৪০ কেজি করে মেপে ওই চাল বিতরণের নির্দেশ দিয়েছি। কারণ যা-ই থাকুক, তালিকাভুক্ত ভিজিএফ কার্ডধারীদের কম দেওয়ার বিধান নেই।’
শিরোনামOther