মামলায় সাক্ষী দিতে না আসায় রাজধানী ঢাকার কিডনী হাসপাতালের ডাক্তার মফিজ উদ্দিনকে সোকজ করেছেন আদালত। কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তি গ্রহণ করা হবেনা তার ব্যাখা দেয়ার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি আদালতে স্ব-শরীরে তাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন। ডাক্তার মফিজ উদ্দিন এর আগে বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়- ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন বাকেরগঞ্জের পশ্চিম ভাতশালা গ্রামের বশির গাজির স্ত্রী মাহিনুর বেগম। একই বাড়ির ৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ওই মামলায় মাহিনুর বেগমের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় ডাক্তার মফিজ উদ্দিনকে রাখা হয় সাক্ষী হিসেবে।
এদিকে আদালতে মামলার বিচারক কার্য্য শুরু হলে অন্যান্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১২ ডিসেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে গত ১২ ডিসেম্বর ওই মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য করা হয়।
তবে রায় ঘোষণার দিন মামলার নথী পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা যায় এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ডা. মফিজ উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পাশাপাশি এর আগে মামলায় সাক্ষী নেয়ার জন্য ওই ডাক্তারকে একাধিক বার নোটিশ প্রেরণের পরেও সে আদালতে সাক্ষী দিতে আসেনি।
এতে আদালত ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার রায় ঘোষণা পিছিয়ে নেয় এবং মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ডা. মফিজ উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়।
পাশাপাশি আদালতের আদেশ অমান্য করা এ ডাক্তারকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তি গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।”
বরিশালের খবর