বরিশাল: পিরোজপুরের জিয়ানগরে বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও তার সহায়তাকারীসহ উপস্থিত পদাধিকারী ব্যক্তিদের পদত্যাগের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেছেন।
শনিবার দুপুরে জিয়ানগরে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, মাসুদ সাঈদীকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করায় জিয়ানগর এখন জামাত নগরে পরিণত হয়েছে। এখানে অধিকাংশ লোকই ছিল বর্তমান সরকারের সমর্থক। মাসুদ সাঈদীকে নির্বাচিত করায় তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
মাসুদ সাঈদী ও তার সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বক্তারা আরো জানান, ১৬ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে বিজয় দিবস অনুষ্ঠান শেষে মাসুদ সাঈদী মঞ্চে এসে তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় তারা তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওই মঞ্চে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের পদত্যাগ দাবি করেন।
জিয়ানগর উপজেলার প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লতিফ হাওলাদারের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার ফজলুল হক সেন্টু, মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন নবীন, আবুল কালাম আজাদ সিপাই, সাঈদীর যুদ্ধাপরাধীর মামলার বাদী ও প্রধান সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম ও ফরিদ খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী ক্রেস্ট বিতরণ করেন। ক্রেস্ট বিতরণের ছবি ফেসবুক পোস্ট করার পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই পরিপেক্ষিতে ১৯ ডিসেম্বর ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম নিজামুল হককে পিরোজপুর সদর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। তারপর ২২ ডিসেম্বর জিয়ানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বাচ্চুকে বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় নির্বাহী অফিসার পদে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
টাইমস স্পেশাল, বরগুনা