কুয়াকাটা: ‘রাহিমার পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নাই’ এ শিরোনামে মানবিক আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি একটি খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এরপর তার পাশে দাঁড়াবার আগ্রহ নিয়ে ফোন করেন মানবতাবাদী যুবক জিয়াউর রহমান। সে অনুযায়ী রবিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে কুয়াকাটার মৎস্য বন্দর আলীপুরে সাগরকন্যা’র প্রধান কার্যালয়ে অসহায় রাহিমার হাতে তুলে দেয়া হলো তার প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি সেলাই মেশিন ও নগদ দেড় হাজার টাকা।
কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে ছলিমপুর গ্রামে বাস করেন রাহিমা বেগম। গত ২৮ সেপ্টেম্বর নেশায় মাতাল স্বামী সাগর নিজ ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় জীবিকার একমাত্র সম্বল সেলাই মেশিনসহ ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র। ফলে সংসার ও একমাত্র সন্তান নিয়ে রাহিমা বেগম দুঃখের সমুদ্রে ভাসছিলেন। অসহায় রাহিমার জীবিকার চাকা ঘোরাতে এগিয়ে এলেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক রোটারিয়ান মো. জিয়াউর রহমান। তার উপস্থিতিতে রবিবার সকাল ১০টায় সাগরকন্যা কার্যালয়ে সেলাই মেশিন ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাগরকন্যা’র প্রধান উপদেষ্টা কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুস সাত্তার ফরাজী, কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাগরকন্যা’র উপদেষ্টা সম্পাদক মেজবাহউদ্দিন মাননু, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাগরকন্যা সম্পাদক নাসির উদ্দিন বিপ্লব, লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও সাগরকন্যা’র বার্তা কক্ষ প্রধান কাজী সাঈদ। এছাড়াও ছিলেন সাগরকন্যা’র জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাফিজুর রহমান আকাশ, প্রতিবেদক তানজিল মাহমুদ ইলিয়াস ও ইমরান আল হাসান সুরুজ।
সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় জিয়াউর রহমান জানান, তিনি স্থানীয় অনলাইন সাগরকন্যা পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট ফেসবুকের মাধ্যমে দেখেছেন এবং তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অসহায় রাহিমা বেগমের আকুতি পূরণ করার। অপরদিকে রাহিমা বেগমও এ জন্য তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।’
খবর বিজ্ঞপ্তি, পটুয়াখালি