বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: পুলিশের গুলিতে নিহতদের দেখতে যাওয়ার সময় বাধার মুখে পড়েছেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী। মিরাটে ঢোকার আগেই তাদের আটকে দিয়েছে যোগী সরকারের পুলিশ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করতে যাচ্ছিলেন ভাই-বোন। পুলিশ প্রশাসনের বাধায় শেষ পর্যন্ত তাদের ফিরে যেতে হল। খবর এনডিটিভির।
সিএএ ও এনআরসিবিরোধী আন্দোলনে নেমে এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে ছয়জনই মিরাটের বাসিন্দা। তাদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করতেই মঙ্গলবার সকালে রওনা দিয়েছিলেন রাহুল ও প্রিয়াংকা। কিন্তু মিরাট বাইপাসে তাদের গাড়িবহর থামিয়ে দেয় পুলিশ-প্রশাসন।
এ ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাহুল বলেন, ‘আমরা পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এমন কোন নির্দেশ আছে কিনা; কিন্তু তারা তা দেখাতে পারেনি। শুধু বলেছে আপনারা দয়া করে ফিরে যান।’ এরপর তাদের প্রতাপপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিরাটে এখন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, তিনজনের একটি দলকে শহরে ঢুকতে দেয়ার জন্য তাদের তরফে প্রশাসনকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাও মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
রাহুল ও প্রিয়াংকে সফর স্থগিত রাখতে বলে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ওই শহরে ইন্টারনেট সংযোগেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
গত শুক্রবার সিএএ ও এনআরসিবিরোধী মিছিল কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মিরাটের পরিস্থিতি। মিছিল থেকে পুলিশকে ইট ছোড়া হয় বলে প্রশাসনের দাবি। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। অভিযোগ রয়েছে, ওই সময়ে পুলিশ গুলিও চালায়। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
Other