এতিমদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। এর সাথে আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ সরকারের কোন সম্পৃক্ততা নেই। দীর্ঘ ১১ বছর কালক্ষেপন করে মামলাটি নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। এই মামলায় সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় দেবেন। এই রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন প্রতিক্রিয়া নেই বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি।
বুধবার (০৭ ফেব্র“য়ারি) সকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্থলের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আদালতের রায়ের প্রতি সকলের শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
রায়ে কোন পক্ষ সন্তুষ্ট না হলে উচ্চাদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই রায় ঘিরে কেউ যদি নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাহলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে।
রায় ঘিরে বিএনপি ধরপাকড়ের অভিযোগও সঠিক নয় দাবি করে হানিফ বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ধরপাকরের শিকার হচ্ছে না। যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে, যারা সন্ত্রাসী, যাদের বিরুদ্ধে সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, যারা নাশকতা ঘটায় তাদের গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপি যদি মনে করে এরাই তাদের নেতাকর্মী, তাহলে জনগণের কাছে বিশ্বাস হবে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপিকে তাহলে স্বীকার করতে হবে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি ও মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, সদর আসনের এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, পংকজ নাথ এমপি, স.ম. রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার রায় নিয়ে যে কোন অরাজকতা সৃষ্টির আশংকায় সতর্কাবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন স্থানে মোতায়েনসহ বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল। এছাড়া বিভিন্ন সড়ক মোড়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন যানবাহন এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করছে র্যাব এবং পুলিশ।”
শিরোনামবরিশালের খবর