বরিশাল: রাজধানী থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সলিম হাওলাদার (৪০) বরিশালে পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দৃকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বরিশাল বিভাগীয় শহরে কর্মরত মিডিয়াকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌঁনে ৩টার দিকে বরিশালের মুলাদী উপজেলার বালিয়াতলি গ্রামে ওই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয় বলে দাবি পুলিশের। এতে সলিম হাওলাদার নিহত হওয়ার পাশাপাশি পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও অবহিত করা হয়।
তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে মিডিয়াকে অবহিত করা হয়েছিলো কুখ্যাত ডাকাত সলিম তার ১০ থেকে ১২ সহযোগী নিয়ে ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন এমন খবরে ওসির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে হানা দেয়।
এসময় সলিমও তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। ফলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে এক পর্যায়ে সলিমের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে দুটি দেশীয় পাইপগান, দুটি রামদা এবং ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।’
বিশেষ করে সলিম নিহতের পরে বুধবার সকালে এমন অভিব্যক্তি ছিলো মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমানের।
অথচ বরিশাল থেকে প্রকাশিত অনলাইন গণমাধ্যম ‘বরিশালটাইমস’ পত্রিকা মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে একটি সলিম রাজধানীতে গ্রেপ্তার হওয়ার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ছবি সংবলিত ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো ‘বরিশালের শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজধানীতে গ্রেপ্তার।
এ প্রসঙ্গে থানার ওসি মতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের নানামূখী প্রশ্নে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।
যদিও পরবর্তীতে ওসি স্বীকার করেছেন, র্যাব-১০ এর একটি দল মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া বাজার থেকে সলিমকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর ঢাকা থেকে সলিমকে মুলাদীতে নিয়ে আসা হয়।
সলিমের স্বীকারোক্তি মতে উত্তর পাতারচর এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।’
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর