বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এএফএম মুহিতুল ইসলাম বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে (কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
তার চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে নয় সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড। বোর্ডের সদস্যরা হলেন- কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, নিউরোমেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, অ্যান্ডোক্রাইনোলজি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, মেডিসিন (রেসপাইরেটরি উইং) বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ এবং অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম কামরুল হুদা।
এছাড়াও অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.দেবব্রত বণিক, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম কামরুল হুদা ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনোতোষ কুমার মণ্ডল তার চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান তাঁকে দেখতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক।
অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক জানান, এএফএম মুহিতুল ইসলাম বর্তমানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তাঁর কিডনীর কার্যকারিতা প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। যে কারণে তাঁকে একদিন পর পর ডায়ালাইসিস দেওয়া হচ্ছে, একইসঙ্গে তাঁর ফুসফুসের সংক্রামক (নিউমোনিয়া) মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যা কোনও জীবাণুনাশকেই ভালোভাবে কাজ করছে না। এছাড়া তাঁর মস্তিস্কের কার্যকারিতা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মস্তিস্কের কার্যকারিতা অনেকটাই ডায়ালাইসিসের ওপর নির্ভরশীল বলে জানান দেবব্রত বণিক।
মুহিতুল ইসলাম কিডনীর সমস্যা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলমের অধীনে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাঁকে এ বিশ্বিবিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিউতে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মুহিতুল ইসলামের একমাত্র কন্যা বাঁধন বলেন, আমরা দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাই। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। তার সুস্থতার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
মুহিতুল ইসলামের নিরাপত্তারক্ষী মো. শামসুল হক বলেন, ১৫ আগস্ট আসার আগে স্যারের খোঁজ নিতো সব গণমাধ্যম। ৩২ নম্বরে (ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধুর বাড়ি) গিয়ে কতো সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, স্যারের সঙ্গে সব সময় পাশে থাকতাম, উনি বক্তব্য দিতেন। এবার স্যার অচেতন হইয়া আছেন, ১৫ আগস্ট চলে আসছে। স্যার যেন আবার ১৫ আগস্ট নিয়া কথা বলতে পারেন, সেজন্য সবার দোয়া চাই আমরা।
১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী এই এএফএম মুহিতুল ইসলাম।
খবর বিজ্ঞপ্তি, জাতীয় খবর