বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:০৪ অপরাহ্ণ, ০৪ অক্টোবর ২০১৬
বরিশাল: নগরীর পলাশপুর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ায় ৬টি ফিডারে গত ৬দিন ধরে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ফলে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোড এবং বানিজ্যিক এলাকা চকবাজার, হাটখোলা, বাজার রোড, পোর্ট রোড সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে বয়ে যাওয়া বজ্রসহ ঝড়ো বৃষ্টিতে পলাশপুর বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের দুটি ট্রান্সফরমারের একটি বিকল হয়ে যায়। একটি ট্রান্সফরমার দিয়ে উপ-কেন্দ্র সচল রাখা হলেও বহু বছরের পুরানো ওই ট্রান্সফরমারটিতে অতিরিক্ত লোড দেওয়া যাচ্ছেনা। ফলে ৬টি ফিডারে একযোগে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছেন না বিদ্যুৎ বিভাগ।
পলাশপুর উপ-কেন্দ্রের দায়িত্ব দাবি করছেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তারা পর্যায়ক্রমে ৩টি করে ফিডারে এক ঘন্টা পর পর লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। তবে ভূক্তভোগীদের দাবি, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিটি ফিডারে আধাঘন্টা পর পর লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ফলে চলমান ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বারাবর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদালত সহ বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
পলাশপুর উপকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমজি ফারুক জানান, উপকেন্দ্রে দুটি ট্রান্সফর্মার ছিল। দুটির বিদ্যুৎ সররবাহ ক্ষমতা ছিল ১০ মেগাওয়াট করে মোট ২০ মেগাওয়াট। ৩০ বছরের বেশী পুরানো হওয়ায় দুটি ট্রান্সফর্মারে সর্বোচ্চ ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেত। উপকেন্দ্রের অধীন ১২ ফিডারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১২ মেগাওয়াট। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঝড়-বৃষ্টিতে একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যায়। অপর ট্রান্সফরমারটি দিয়ে সর্বোচ্চ ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে এক ঘন্টা পর পর একযোগে ৩টি ফিডার সচল রেখে অপর ৩টি ফিডারে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।
উপকেন্দ্রের প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, গত রবিবার ঢাকা থেকে নতুন একটি ট্রান্সফরমার আনা হয়েছে। ওই ট্রান্সফরমার স্থাপনের পর আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কাজ শেষ করে আগামী বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।