বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ অপরাহ্ণ, ০৪ মে ২০১৬
বরগুনার পাথরঘাটায় ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।
পাথরঘাটা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার ও এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো.নাসির উদ্দিননের কাছে রাতের বেলা প্রাউভেট পড়তে যান ৫ম শ্রেণির ছাত্রীরা। গত ২৬ এপ্রিল কোচিং করার এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীকে পাশের কক্ষে নিয়ে তার গায়ে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন। শিক্ষার্থীর চিৎকারে সহপাঠীরা জড় হলে শিক্ষক ওই ছাত্রীকে কাউকে কিছু না বলার জন্য শাসিয়ে দেন।
মেয়েটির মা অভিযোগ করে বলেন, অতি দরিদ্র হওয়া সত্বেও মেয়েকে বিদ্যালয়ে পড়াতে পাঠাই। নিজে পরের বাড়িতে কাজ করি ও স্বামী দিন মজুরী করে উপার্জিত টাকা খরচ করি মেয়েকে শিক্ষিত করার জন্য কিন্তু এ কোন শিক্ষক যে আমার মেয়েকে এখন পড়াশুনা করতে ভয় দেয় ! শিক্ষকরা আমাদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক জানান, ভিক্টিমের মা মামলার বাদী হয়েছেন। আসামি গ্রেপ্তার হয়নি তবে চেস্টা করা হচ্ছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জালাল আহমেদ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন এর আগেও তার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করেছে, যার কোন বিচার হয়নি।
এ বিষয়ে শিক্ষক নাসির উদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।