বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: বর-কনে দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক। বরের বয়স ১৬ আর কনের ১২। কনে স্থানীয় একটি মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বর বছর দুয়েক আগে অষ্টম শ্রেণির পাঠ চুকিয়ে বর্তমানে কৃষিকাজে নিয়োজিত।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তাদের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে প্রশাসনের লোকজন হাজির হয়ে বিয়েবাড়িতে। এতে পণ্ড হয়ে যায় বাল্যবিয়ে। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ইউএনওর কার্যালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মোজাফফরপুর ইউনিয়নের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর রাতের অন্ধকারে বাল্যবিয়ের আয়োজন করে পরিবার। অপ্রাপ্তবয়স্ক বরের বাড়িও একই এলাকায়।
প্রতিবেশীদের কাছে বিষয়টি গোপন রেখে চলছিল বিয়ের আয়োজন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে রাত ১০টার দিকে বিয়েবাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান রহুল ইসলাম।
এ সময় ইউএনওর সঙ্গে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে কাজিসহ বর, বরের বাড়ির লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ইউএনও উভয় পরিবারের লোকজনকে ডেকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝান। এরপর ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দেয় উভয় পরিবার।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান রহুল ইসলাম বলেন, উভয় পরিবারকে বুঝিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দিয়েছে পরিবার। তবে বর-কনে উভয়ের অভিভাবক ও কাজিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
দেশের খবর