৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

শুক্রবার বরগুনা পুলিশের জোছনা উৎসব

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, ২২ নভেম্বর ২০১৮

আগামীকাল শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বরগুনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ জোছনা উৎসব। এ উৎসব ঘিরে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় বরগুনার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যকে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে এ উৎসবে যোগ করা হয়েছে নানা উদ্যোগ আয়োজন।

এবার বরগুনার খড়স্রোতা পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী যেখানে সাগরে মিশেছে ঠিক সেখানে নবগঠিত তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের স্নিগ্ধ বেলাভূমি ‘শুভ সন্ধ্যার’ বিস্তির্ণ বালুচরে চতুর্থ বারের মতো এ উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

একদিকে সীমাহীন সাগর। আরেকদিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। একদিকে দীর্ঘ ঝাউবন, আরেকদিকে তিন তিনটি নদীর বিশাল জলমোহনা। সবমিলিয়ে নদী আর বনের এক অপরূপ সমাহার শুভ সন্ধ্যার চর। আগামীকাল শুক্রবার ভরা পূর্ণিমায় এখানেই জল-জোছনায় একাকার হবেন জোছনাবিলাসী হাজারো মানুষ।

barguna

বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে- এবারের জোছনা উৎসবে বরগুনা থেকে দুটি দোতলা লঞ্চ সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুপুর দেড়টায় (১.৩০মিনিট) বরগুনা লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাবে। বরগুনার খাগদন নদী হয়ে বাইনচটকীর স্নিগ্ধ বনভূমির পাশ দিয়ে কুমীরমারা আর গোড়াপদ্মার নয়নাভিরাম বনানীর কোল ঘেঁষে বিকেল ৫টার দিকে লঞ্চ পোঁছাবে শুভ সন্ধার চরে। এরপর বিস্তির্ণ সেই স্নিগ্ধ বালুচরে শেষ বিকেলের ঘোরাঘুরির পর রাতভর জোছনার গান, রাখাইন নৃত্য, বাউল সঙ্গীত, মোহনীয় বাশি, পুঁথী এবং কবিতা আবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে জলজোছনায় অবগাহন হবে সবার। থাকবে লোভনীয় পুরস্কারের আকর্ষণীয় লটারি। গভীর রাত পর্যন্ত জোছনাস্নাত হয়ে রাত ৩টায় বরগুনার উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়বে। সকাল ৬টা নাগাদ লঞ্চ ভিড়বে বরগুনার ঘাটে।

এবারের জোছনা উৎসবে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ঢাকা এবং দেশ বিদেশের ২০ থেকে ৩০ হাজার পর্যটক ভিড় জমাবেন বলে ধারণা আয়োজক কমিটির। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নদীর মোহনা এবং শীতের হিম হাওয়ার কথা মাথায় রেখে এ উৎসবে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের আনতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

barguna

এছাড়া বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’টি নির্ধারিত হটলাইন নম্বরে (০১৩১৮৬৫৫৬৩৬/০১৩১৮৬৫৫৬৩৬) যোগাযোগ করে রেজিস্ট্রেশনসহ জোছনা উৎসব সংক্রান্ত সকল তথ্য জানা যাবে। একইসঙ্গে জোছনা উৎসব সংক্রান্ত সকল তথ্য দিয়ে খোলা হয়েছে একটি ফেসবুক পেজও। যেখানে জোছনা উৎসব সংক্রান্ত সকল তথ্যসহ আকর্ষণীয় তথ্যচিত্রও শেয়ার করা হয়েছে।

জোছনা উৎসবের উদ্যোক্তা বরগুনার তরুণ সাংবাদিক সোহেল হাফিজ বলেন, স্থানীয় সমমনা বন্ধুদের নিয়ে ২০১৫ যে উৎসবটি আমরা শুরু করেছিলাম তা আজ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের কাছে একটি প্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। বরগুনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ উৎসবটি ধীরে ধীরে দেশ-বিদেশেও ব্যাপক পরিচিতি পাবে বলে আমরা আশাবাদী।

জেলা প্রশাসক ও জোছনা উৎসব আয়োজক কমিটি ২০১৮-র আহ্বায়ক কবীর মাহমুদ জানান, বরগুনায় যোগদান করেই এখানকার প্রতিটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বরগুনার আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকাগুলো পরিকল্পিতভাবে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা গেলে পর্যটন শিল্প বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এখানকার অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

14 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন