শেখ হাসিনা একজন খাঁটি ইমানদার মুসলমান: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন খাঁটি ইমানদার মুসলমান। তিনি ইসলামের প্রচার-প্রসারে সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও তিনি হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করেছেন’ বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মসজিদ উত তাকওয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তারে প্রধানমন্ত্রী মসজিদ পাঠাগার ও ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন করেছেন। এছাড়াও তিনি দাওরা হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। উচ্চতর শিক্ষায় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন।’
ইসলামের আদর্শ ও মর্মবাণী সঠিকভাবে প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), শবে কদর ও শবে বরাতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন, মাদরাসার শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করে ইসলামের খেদমতে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন বিশ্ব শান্তি, মানবতা ও কল্যাণের পথ প্রদর্শক। তার মাধ্যমে সুমহান ইসলাম লাভ করেছে পরিপূর্ণতা। আমি বিশ্বাস করি মহানবীর (সা.) ক্ষমা ও উদারতা, নারী জাতির প্রতি সম্মান, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনে গুরুত্ব দান, অমুসলিম বা চুক্তিবদ্ধ নাগরিকদের নিরাপত্তা, সুশাসন, মানবিক আচরণ, কল্যাণ ভাবনা, শান্তি ও যুদ্ধনীতি, মদিনা সনদ, হুদাইবিয়ার সন্ধি ও রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের চেতনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা যদি আমাদের কর্ম-পন্থা নির্ধারণ করি, তবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হয়ে উঠবে উন্নত, সমৃদ্ধ, শান্তি ও কল্যাণময়। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে দৃষ্টান্ত আমাদের দেশে আছে তা হতে পারে আরও সুসংহত ও সুদৃঢ়।’
এ সময় তিনি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিশু কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
মসজিদ উত তাকওয়া সোসাইটির সভাপতি একেএম রেজাউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন সোসাইটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম।
জাতীয় খবর