বরিশাল: শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে সরবরাহ করা ওষুধ রোগীরা পায় না। কিন্তু প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ মূল্যের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ দেখানো হয়।’ অধিকাংশই চলে যায় প্যাকেট পাল্টে, সিল মুছে বাইরের খোলা বাজারে। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. সিরাজুল ইসলামের।
’ এসব ওষুধ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ব্যবস্থাপত্র নেওয়া ও ভর্তি থাকা চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে বিতরণ করা নিয়ম রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে অস্ত্রপাচার কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে অব্যবস্থাপনা দেখতে পেয়ে পরিচালক হাসপাতালের ৪১ ওয়ার্ডের ইনচার্জদের নিয়ে ঈদের পূর্বে বৈঠক করেন। পরে তিনি বিনামূল্যের ওষুধ রোগীদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেন।
তবে নির্দেশনার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সোমবার হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে- রোগীরা ওষুধ পাচ্ছে না। পরিচালক বলছেন- অবস্থার উন্নতি ও স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের ইনচার্জ রাশিদা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন ভর্তি হওয়া রোগীদের বিনামূল্যের ওষুধ দেওয়া যাচ্ছে না।
ওষুধের দৈনিক স্টকের পরিমান না-জানানোয় স্টোরে চাহিদা-পত্রও পাঠানো যাচ্ছে না।’ স্টোর ইনচার্জ ডা. মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরণের অব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এখন পুরো বিষয়টি ঠিক করার জন্য একটি প্রক্রিয়া মেনে চলা হচ্ছে। তাই এখন থেকে রোগীরা নিয়মিতভাবে ওষুধ পাবে।’ চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয় সদর উপজেলার মো. সালাম জানান, ‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর রোগীর অস্ত্রপচার হয়েছে। এর জন্য যত ওষুধ প্রয়োজন হয়েছে, তা হাসপাতালের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে এনেছেন। বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি নাকি তিনি জানেনই না।’
হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইনচার্জরা জানিয়েছেন, রোগীদের জন্য বিনামূল্যের ওষুধ বিতরণ মনিটরিং করা হয় না। যার কারণে রোগীরা ঠিকমত ওষুধ পায় না।
টাইমস স্পেশাল, স্পটলাইট