বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসরাত (০৩) নামে এক কন্যা শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অপচিকিৎসা ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ এনে বিভাগীয় প্রধান ডা. অসীম কুমার সাহাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মৃত শিশুর বাবা উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ধামুরা এলাকার বাসিন্দা আল আমিন জমাদার।
আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. অসীম কুমার সাহা, হাসপাতালের শিশু বিভাগের ইউনিট-২ এর আওতাধীন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, ওই সময়ে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক, শিশু বিভাগের ডায়রিয়া ইউনিটের সেবিকা সিপু, শেবাচিম হাসাপাতালের শিশু বিভাগের ইউনিট-৩’র রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রার।
এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে- চলতি বছরের ২৩ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে বাদীর শিশু কন্যা ইসরাত। এসময় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে শিশু বিভাগের ডায়রিয়া ইউনিট-২ এ পাঠানো হয়। ওই ইউনিটে দায়িত্বরত অজ্ঞাতনামা ইন্টার্ন চিকিৎসক বাদী আল-আমিন জমাদারকে স্লিপ লেখে দেয় স্যালাইন ও ওষুধ আনার জন্য। কিন্তু ওই স্লিপ সেবিকা সিপু বাদীর কাছ থেকে নিয়ে যান এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ বাদ দিয়ে নতুন ওষুধ লেখা সংবলিত অপর একটি স্লিপ দিয়ে সেগুলো আনতে বলেন। ওই সময় সেবিকা সিপু’র দেওয়া ওষুধ শিশু ইসরাতের শরীরে প্রয়োগ করা হলে শিশু ইসরাত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ইসরাতের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে শিশু ওয়ার্ডের ইউনিট-৩ এ পাঠানো হয়।
ওই ইউনিটের চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও কোনো চিকিৎসা দেননি। ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে শিশু ইসরাতের ২৫ আগস্ট রাত ২টা ২০ মিনিটে মৃত্যু হয়।
এসময় বাদী আল আমিন জমাদার ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণ জানতে চাইলে আসামিরা বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মৃত কন্যা শিশুসহ তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে।’
শিরোনামবরিশালের খবর