বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল থেকে বিনা অনুমতিতে মরদেহ নেওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুলসহ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শাহাদাৎ হোসেন শান্তকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নিহতের স্বজনদের বিরুদ্ধে।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত এসআই নাজমুল ও কর্মচারী শান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরতরা জানিয়েছেন- বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরার কাংশি এলাকার মৃত আজাহার আলী সরদারের ছেলে আবু আনসারের (৪০) ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আনসারকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কারণে মরদেহটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মর্গে রাখার নির্দেশ দেন। হাসপাতালের কর্মচারী শান্ত মরদেহটি মর্গে নিয়ে যাওয়ার সময় নিহত ব্যক্তির স্বজনরা তাতে বাধা দেন। এ সময় শান্ত তাদের নিয়মানুযায়ী মরদেহটি নিয়ে যাওয়ার জন্য নিহতের স্বজনদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। এতে স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে শান্তকে মারধর করেন। শান্তকে মারধরের সময় হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই নাজমুল এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন তারা। পরে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরতরা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়।
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আমিরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, রোগীকে মৃত্যু ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মৃত ব্যক্তির স্বজনদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়ে ছিল। কিন্তু তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মরদেহটি নিয়ে যেতে চাইলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। যা কাম্য নয়।
আহত এসআই নাজমুলের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে নিহত ব্যক্তির এক স্বজনের হাতে থাকা পানির বোতল ছুড়ে মারলে তিনি চোখে আঘাত পান।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। তাই বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করা হচ্ছে।’’
লিড নিউজবরিশালের খবর