১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শেবামেকে প্রকৌশলী অবরুদ্ধ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৫২ অপরাহ্ণ, ২৪ মে ২০১৬

বরিশাল: বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) ছাত্রাবাসে বাথ রুমের পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে মইনুল হায়দার ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটলে কলেজ অধ্যক্ষ এসে ওই প্রকৌশলীকে উদ্ধার করে।

 

এ বিষয়ে নিবাসীরা (ছাত্ররা) জানান, মাত্র কয়েক মাস পূর্বে ছাত্রাবাসে সংস্কারের কাজ হয়। সংস্কার শেষ না হতে হতেই হোষ্টেলের সামনের বাথরুমের বিশাল অংশ জুড়ে ছাদের পলেস্তার খসে পরে এক ছাত্র আহত হয়। এর কয়েকমাস পর মঙ্গলবার দুপুরে আবারও ছাত্রবাসের পেছনের ব্লোকের বাথরুমের বিশাল অংশ জুড়ে ছাদের পলেস্তার খসে পড়ে।

 

এতে কেউ আহত না হলেও হোষ্টেলের নিবাসীদের মধ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনা দেখানোর জন্য গনপূর্ণ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সেলিমকে ডাকা হলে তিনি নানানভাবে ঘুরাতে থাকেন। পরে কৌশলে তাকে আনা হয় কিন্তু সে এসে ছাত্রদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলে ফেলেন মৃত্যু যেখানে লেখা আছে সেখানেই হবে। এতে সাধারন ছাত্ররা ক্ষোভে তাকে কমন রুমে আটকে রেখে বিক্ষোভ করে।

 

ছাত্ররা জানায়, এরআগে ওই প্রকৌশলী তিন হোষ্টেল মিলিয়ে পানির ট্যাংকি পরিষ্কারের নামে ১৫ হাজার টাকার কাজ করেন। অল্প টাকায় কাজ ভালো হওয়ায় ছাত্রলীগের ব্যানারে তাকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করা হয়। কিন্তু তিনি ওই ধন্যবাদপত্র দিয়ে ১ টি হোষ্টেল বাবদ বিল করেছেন ১ লাখ টাকা। বাকী ২ টি তে বিল করলে হবে ৩ লাখ কিন্তু খরচ ১৫ হাজার টাকাই। যা ছাত্রলীগের নেতারা জানতে পেরে বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে জানান। তা না হলে বিলটি পাশ হয়ে যেতো।

 

এ বিষয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. সেলিম মুঠোফোনে জানান, তাকে আটকে রাখার কোন ঘটনা ঘটেনি। ওই ভবনে সংস্কারের কাজ বহু আগে হয়েছে, আর পূরাতন ভবন হওয়ায় এর পলেস্তার প্রায়ই খসে পড়ছেন। তিনি বলেন, ছাত্রদের বলেছেন ভাই যদি আমার এখানে মৃত্যু লেখা থাকে তবে হবে, কিন্তু ছাত্রদের তিনি কিছু বলেন নি। আর ১৫ হাজার টাকায় লাখ টাকা বিলের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর সাহা বলেন, তাকে বিল করার বিষয় ও ছাত্রবাস সংস্কারের বিষয়ে বলা হয়েছে। সে যদি এ বিষয়ে নিজেই উর্ধতন কতৃপক্ষকে না জানায় তবে কলেজ প্রশাসন জানাবে।

45 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন