বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: বিয়ের বয়স মাত্র চুয়ান্ন দিন। হাতের মেহদির রঙ এখনো মুছে যায়নি। এ অবস্থায় স্বামীর অনুপস্থিতে প্রেমিককে ডেকে এনে ধরা পড়লেন নববধূ। পরদিন সালিসের সিদ্ধান্তে শ্বশুর বাড়িতেই স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করলেন তিনি।
গতকাল রবিবার রাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরুইল ইউনিয়নের কোনাডাঙ্গর গ্রামে। আজ সোমবার দিনভর এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চলেছে নানা সমালোচনা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চুয়ান্ন দিন আগে উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের বিলভাদেরা গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে রিতা আক্তারের (১৯) বিয়ে হয় একই উপজেলার সিংরুইল ইউনিয়নের কোনাডাঙ্গর গ্রামের ইন্নছ আলীর ছেলে চাঁন মিয়ার (৩০) সাথে। দুই নাইউড় পরেই তৃতীয় নাইউড়ে আসার পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন নববধূ রিতা।
জানা যায়, রিতা বিয়েতে রাজী না থাকলেও পরিবারের চাপে পড়ে বিয়ে করেন চাঁন মিয়াকে। তাঁর সাথে প্রেম ছিল নিজ বাড়ি বিলভাদেরা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ওমর ফারুকের (৩২) সাথে। এ অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থাতেই প্রেমিক ফারুক গোপনে দেখা করতো। রবিবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে রিতাকে নিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী চাঁন মিয়াসহ তাঁর লোকজন ফারুককে ধরে বাড়িতে আটকে রাখে। চাঁন মিয়ার লোকজন আইনি সহায়তা নিতে চাইলে উভয় এলাকার দুই ইউপি সদস্য দায়িত্ব নেয় ঘটনাটি মীমাংসা করে দেওয়ার। এক পর্যায়ে দিনভর সালিশের পর সিদ্ধান্ত হয় স্বামী চাঁন মিয়াকে তালাক দেয় রিতা। পরে ওমর ফারুকের কাছে দ্বিতীয়বার বিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নববধূ রিতার এলাকার ইউপি সদস্য আলীম উদ্দিন ও সদ্য সাবেক স্বামীর এলাকার ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ সকল ঘটনা স্বীকার করে জানান, ইজ্জত ও সম্মানের কথা চিন্তা করে তারা এই সামাধান করে দিয়েছেন।
তালাক ও দ্বিতীয় বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করেছেন সাব-কাজি সাইদুর রহমান। তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাজটি আমার করানো ঠিক হয়নি। তবু এলাকার লোকজনের চাপে পড়ে করতে হয়েছে।
অন্যদিকে ওই ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধক (কাজি) সাইদুল হক ভুইয়া বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। অন্য কাজির রেজিস্ট্রার এনে করতে পারে।
তিনি তো আপনার কাছ থেকে বই নিয়ে কাজ করেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। এই বলে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন।
দেশের খবর