বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় থেকে ইয়াসিন (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এই যুবককে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপবাদ দিয়ে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।
যুবক ইয়াসিন বরিশাল সদর উপজেলার পানবাড়িয়া ইউনিয়নের সিদ্দিক সরদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গত মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর ইউনিয়নের লড়াইপুর চর থেকে যুবক ইয়াসিনকে আটকের পরে অভিযোগ তোলা হয় এক তরুণীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই সময় তাকে ব্যাপক প্রহর করেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হুমায়ন হাওলাদার, হুময়ান গাজী, সালাম হাওলাদার ও হাফেজ খান।
পরবর্তীতে তাকে পুলিশে না দিয়ে আটকে রাখা হয় ইউনিয়ন পরিষদের একটি অন্ধকার কক্ষে। এমতাবস্থায় স্থানীয়রা মনে করছেন মারধর ও অপবাদের লজ্জায় ইয়াসিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট শ্রীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) এয়াকুব জানিয়েছেন- ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। অবশ্য পুলিশের এই কর্মকর্তাও বলছেন- লোকলজ্জার ভয়ে যুবক ইয়াসিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মোল্লা বলছেন বুধবার শেবাচিমে তার বড় ভাই বাকের মোল্লার মৃত্যু হওয়ায় সেখানে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। যে কারণে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে মোটেও অবহিত নন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি সেখানে গেছেন।
এদিকে যুবককে মারধরের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেম্বার হুমায়ন হাওলাদার, হুময়ান গাজী, সালাম হাওলাদার ও হাফেজ খান। কিন্তু কী কারণে পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নে তাদের অভিব্যক্তি হচ্ছে- ছেলে ও মেয়ে বিয়ে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।’’
শিরোনামOther