বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ অপরাহ্ণ, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য পদ ছেড়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল রবিবার দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। স্পিকার ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।
শেখ ফজলে নূর তাপস আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্য বা সরকারের অন্য কোনো লাভজনক পদে থেকে সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ নেই। তাই দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন।
এদিকে তাপসের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আসনটি শূন্য হয়েছে। এখন স্পিকার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাবেন। এরপর ইসি ওই আসনে উপনির্বাচনের আয়োজন করবে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে।
২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে বিজয়ী ৩৫ জন কাউন্সিলর এবার ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন বঞ্চিত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ডিএসসিসির ১৯ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৬ জন। বঞ্চিত অনেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ ছিল। আওয়ামী লীগের সমর্থনে সাধারণ ওয়ার্ডে দুই নারী মুখ এসেছে। এ ছাড়া দুটি ওয়ার্ডে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দুই কাউন্সিলরের ছেলেকে।
জানা গেছে, ডিএনসিসির বর্তমান কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, মো. রজ্জব হোসেন, মোবাশ্বের চৌধুরী, কাজী টিপু সুলতান, মো. ইকবাল হোসেন তিতু, হুমায়ুন রশিদ জনি, ডা. জিন্নাত আলী, মো. নাছির, মোস্তাক হোসেন, শেখ মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব ও শফিকুল ইসলাম এবার আওয়ামী লীগের সমর্থন পাননি। এ ছাড়া ডিএনসিসির নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক আহম্মেদ, মাসুদুর রহমান দেওয়ান ও আনিছুর রহমান নাঈমকেও দেওয়া হয়নি আওয়ামী লীগের সমর্থন। দলীয় সমর্থন না পাওয়া কাউন্সিলরদের মধ্যে মো. নাছির, তারেকুজ্জামান রাজীব, হাবিবুর রহমান মিজান ও আনিছুর রহমান নাঈমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্যসহ নানা ধরনের বিতর্কিত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল।
এদিকে ক্যাসিনো-কাণ্ড, দখলদারি ও চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত ডিএসসিসির বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে সমর্থন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এঁদের মধ্যে আছেন কারাগারে থাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নাল হক মঞ্জু। এর বাইরে ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন, মো. সুলতান মিয়া, গোলাম আশরাফ তালুকদার, মোস্তফা জামান পপি, মোহাম্মদ সেলিম, জাকির হোসেন স্বপন, হোসেন হায়দার হিরু, সালাউদ্দিন আহমেদ ঢালী, জসিম উদ্দিন আহমেদ, মুন্সী কামরুজ্জামান, এম এ হামিদ খান, আরিফুল ইসলাম সজিব, আনোয়ার পারভেজ বাদল, রফিকুল ইসলাম রাসেল, মো. বিল্লাল শাহ, আউয়াল হোসেন, আব্দুস সাহেদ মন্টু, আব্দুল কাদির ও মো. আবুল কালাম আজাদ পাননি দলীয় সমর্থন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মনোনয়ন চাননি। তবে আবু আহমেদ মন্নাফির ছেলে আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফি এবং সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রার্থীদের ব্যাপারে। যাদের জনগণের মধ্যে গ্রহনযোগ্যতা ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, যাদের দলের প্রতি আনুগত্য রয়েছে এবং যারা নিষ্ঠাবান তাদেরকেই প্রার্থী হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’
ডিএনসিসি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেলেন যাঁরা : ওয়ার্ড-১ মো. আফছার উদ্দিন খান, ওয়ার্ড-২ আলহাজ কদম আলী মাদবর, ওয়ার্ড-৩ মো. জিন্নাত আলী মাদবর, ওয়ার্ড-৪ মো. জামাল মোস্তফা, ওয়ার্ড-৫ মো. আব্দুর রউফ নান্নু, ওয়ার্ড-৬ সালাউদ্দিন রবিন, ওয়ার্ড-৭ মো. তফাজ্জল হোসেন, ওয়ার্ড-৮ মো. আবুল কাশেম মোল্লা, ওয়ার্ড-৯ মুজিব সারোয়ার মাসুম, ওয়ার্ড-১০ আবু তাহের, ওয়ার্ড-১১ দেওয়ান আবদুল মান্নান, ওয়ার্ড-১ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন তিতু, ওয়ার্ড-১৩ মো. হারুন-অর-রশিদ, ওয়ার্ড-১৪ মো. মইজউদ্দিন, ওয়ার্ড-১৫ সালেক মোল্লা, ওয়ার্ড-১৬ মো. মতিউর রহমান, ওয়ার্ড-১৭ মো. ইসহাক মিয়া, ওয়ার্ড-১৮ মো. জাকির হোসেন, ওয়ার্ড-১৯ মো. মফিজুর রহমান, ওয়ার্ড-২০ মো. জাহিদুর রহমান, ওয়ার্ড-২১ মাসুম গনি, ওয়ার্ড-২২ মো. লিয়াকত আলী, ওয়ার্ড-২৩ মো. শাখাওয়াত হোসেন, ওয়ার্ড-২৪ মো. সফিউল্লা, ওয়ার্ড-২৫ আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর, ওয়ার্ড-২৬ শামীম হাসান, ওয়ার্ড-২৭ ফরিদুর রহমান খান, ওয়ার্ড-২৮ মো. ফোরকান হোসেন, ওয়ার্ড-২৯ মো. নুরুল ইসলাম রতন, ওয়ার্ড-৩০ আবুল হাসেম হাসু, ওয়ার্ড-৩১ আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ওয়ার্ড-৩২ সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম, ওয়ার্ড-৩৩ আসিফ আহমেদ, ওয়ার্ড-৩৪ শেখ মোহাম্মদ হোসেন, ওয়ার্ড-৩৫ মোক্তার সরদার, ওয়ার্ড-৩৬ তৈমুর রেজা খোকন, ওয়ার্ড-৩৭ মো. জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ড-৩৮ শেখ সেলিম, ওয়ার্ড-৩৯ মো. শফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ড-৪০ মো. নজরুল ইসলাম ঢালী, ওয়ার্ড-৪১ আব্দুল মতিন, ওয়ার্ড-৪২ মো. জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ড-৪৩ শরিফুল ইসলাম ভূঞা, ওয়ার্ড-৪৪ মো. শফিকুল (শফিক), ওয়ার্ড-৪৫ জয়নাল আবেদীন, ওয়ার্ড-৪৬ মো. সাইদুর রহমান সরকার, ওয়ার্ড-৪৭ মোতালেব মিয়া, ওয়ার্ড-৪৮ এ কে এম মাসুদুজ্জামান, ওয়ার্ড-৪৯ মো. সফিউদ্দিন মোল্লা, ওয়ার্ড-৫০ ডি এম শামীম, ওয়ার্ড-৫১ মোহাম্মদ শরীফুর রহমান, ওয়ার্ড-৫২ মো. ফরিদ আহমেদ, ওয়ার্ড-৫৩ মো. নাসির উদ্দিন, ওয়ার্ড-৫৪ জাহাঙ্গীর হোসেন।
ডিএসসিসিতে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেলেন যাঁরা : ওয়ার্ড-১ মো. মাহবুবুল আলম, ওয়ার্ড-২ মো. আনিসুর রহমান, ওয়ার্ড-৩ মো. মাকছুদ হোসেন, ওয়ার্ড-৪ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ওয়ার্ড-৫ মো. আশ্রাফুজ্জামান, ওয়ার্ড-৬ মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি, ওয়ার্ড-৭ আব্দুল বাসিত খান, ওয়ার্ড-৮ মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, ওয়ার্ড-৯ মো. মোজাম্মেল হক, ওয়ার্ড-১০ মারুফ আহমেদ মনসুর, ওয়ার্ড-১১ মো. হামিদুল হক শামীম, ওয়ার্ড-১২ গোলাম আশরাফ তালুকদার, ওয়ার্ড-১৩ মো. এনামুল হক, ওয়ার্ড-১৪ ইলিয়াছুর রহমান, ওয়ার্ড-১৫ রফিকুল ইসলাম বাবলা, ওয়ার্ড-১৬ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ওয়ার্ড-১৭ মো. মাহবুবুর রহমান, ওয়ার্ড-১৮ আ স ম ফেরদৌস আলম, ওয়ার্ড-১৯ মোহা. আবুল বাশার, ওয়ার্ড-২০ ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, ওয়ার্ড-২১ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ওয়ার্ড-২২ জিন্নাত আলী, ওয়ার্ড-২৩ মো. মকবুল হোসেন, ওয়ার্ড-২৪ মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ওয়ার্ড-২৫ মো. আনোয়ার ইকবাল, ওয়ার্ড-২৬ হাসিবুর রহমান মানিক, ওয়ার্ড-২৭ ওমর বিন আব্দুল আজিজ, ওয়ার্ড-২৮ মো. সালেহিন, ওয়ার্ড-২৯ জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, ওয়ার্ড-৩০ মো. হাসান, ওয়ার্ড-৩১ শেখ মোহাম্মদ আলমগীর, ওয়ার্ড-৩২ মো. আ. মান্নান, ওয়ার্ড-৩৩ মো. আউয়াল হোসেন, ওয়ার্ড-৩৪ মীর সমীর, ওয়ার্ড-৩৫ মো. আবু সাঈদ, ওয়ার্ড-৩৬ রঞ্জন বিশ্বাস, ওয়ার্ড-৩৭ মো. আব্দুর রহমান মিয়াজি, ওয়ার্ড-৩৮ আহমদ ইমতিয়াজ মন্নাফী, ওয়ার্ড-৩৯ রোকন উদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ড-৪০ আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ড-৪১ সারোয়ার হাসান (আলো), ওয়ার্ড-৪২ মোহাম্মদ সেলিম, ওয়ার্ড-৪৩ মো. আরিফ হোসেন, ওয়ার্ড-৪৪ মো. নিজাম উদ্দিন, ওয়ার্ড-৪৫ হেলেন আক্তার, ওয়ার্ড-৪৬ মো. শহিদ উল্লাহ, ওয়ার্ড-৪৭ নাসির আহম্মেদ ভূঁইয়া, ওয়ার্ড-৪৮ মো. আবুল কালাম, ওয়ার্ড-৪৯ আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ড-৫০ মাসুম মোল্লা, ওয়ার্ড-৫১ কাজী হাবিবুর রহমান (হাবু), ওয়ার্ড-৫২ মোহাম্মদ নাছিম মিয়া, ওয়ার্ড-৫৩ মোহাম্মদ নূর হোসেন, ওয়ার্ড-৫৪ মো. মাসুদ, ওয়ার্ড-৫৫ মো. নুরে আলম, ওয়ার্ড-৫৬ মোহাম্মদ হোসেন, ওয়ার্ড-৫৭ মো. সাইদুল ইসলাম, ওয়ার্ড-৫৮ মো. শফিকুর রহমান, ওয়ার্ড-৫৯ আকাশ কুমার ভৌমিক, ওয়ার্ড-৬০ মোহাম্মদ লুত্ফর রহমান রতন, ওয়ার্ড-৬১ মো. শাহ আলম, ওয়ার্ড-৬২ মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, ওয়ার্ড-৬৩ মো. শফিকুল ইসলাম খান, ওয়ার্ড-৬৪ মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা, ওয়ার্ড-৬৫ মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া, ওয়ার্ড-৬৬ মো. হানিফ তালুকদার, ওয়ার্ড-৬৭ মো. ফিরোজ আলম, ওয়ার্ড-৬৮ মাহমুদুল হাসান, ওয়ার্ড-৬৯ মো. হাবিবুর রহমান হাসু, ওয়ার্ড-৭০ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ওয়ার্ড-৭১ মো. খাইরুজ্জামান, ওয়ার্ড-৭২ শফিকুল ইসলাম শামীম, ওয়ার্ড-৭৩ মো. শফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ড-৭৪ মো. ফজর আলী, ওয়ার্ড-৭৫ সৈয়দ মো. তোফাজ্জল হোসেন।