বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
তবুও সাদিকের কালিবাড়িতে উপচে পড়ছে কর্মী-সমর্থক
হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল:: সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বরিশালের স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বিশেষ করে ‘মর্যাদার আসন’ খ্যাত বরিশাল ৫ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের প্রতিদ্বন্দ্বী খোদ শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাদিক আব্দুল্লাহ হওয়ায় কর্মী-সমর্থকেরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই আসনে জাতীয় পার্টিসহ একাধিক দলের প্রার্থী থাকলেও নৌকার বিরুদ্ধে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ অবস্থান নেওয়ায় বিভক্ত দুটি গ্রুপ রীতিমত সাইবার যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক অনুসারী বরিশাল মহানগর আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেনের বেশ কিছু বেফাঁস মন্তব্যকে ঘিরে প্রতিবাদস্বরুপ তার শাস্তির দাবিতে মাঠে নেমেছেন জাহিদ ফারুকের অনুসারীরা। উভয়গ্রুপ সভা-সমাবেশ করে পাল্টা-পাল্টি উত্তেজনামূলক এবং আক্রমণাত্মক বক্তব্য রেখে নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত করে তুলেছে। সর্বশেষ আজ রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে সাদিকের উল্লেখিত তথ্যে কিছু গোপন আছে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বর্তমান এমপি জাহিদ ফারুক শামীমপন্থী বরিশাল মহানগর আ’লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম। এনিয়ে চটেছেন সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী নেতাকর্মীরা, তারা আফজালকে বিষদগার করে নানা মন্তব্য করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই উত্তাপের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ সাদিক আব্দুল্লাহ’র দিকে ঝুকে আছে, তার কালিবাড়ির বাসায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভিড়। এতদিন যারা জাহিদ ফারুকে অনুসারী হিসেবে পরিচিত অর্থাৎ সাদিকবিরোধী ছিলেন তাদের মধ্যেও কেউ কেউ কালিবাড়িতে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বরিশালটাইমসকে জানান, তাদের নেতা সাদিক আব্দুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন এই খবরে জাহিদ ফারুকের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত শ্রমিক নেতা আফতাব হোসেন ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বহিরাগত কাউকে নয়, সাদিক আব্দুল্লাহ’র নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া এক সময়ে যারা সাদিকের লোক ছিলেন, কিন্তু পল্টি খেয়ে ওদিকে ভিড়ছিলেন, তারাও এখন কালিবাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করেছেন।
মি. জাহাঙ্গীরের ভাষায়, বলতে গেলে প্রতিদিনই সাদিক আব্দুল্লাহ’র বাড়িতে কর্মী-সমর্থক ঢল বাড়ছে এবং তারাই সাদিক আব্দুল্লাহ’র নির্বাচনী চালিকাশক্তি।
সাদিক ঘনিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সাদিকের কালিবাড়িতে ক্রমাগতভাবে নেতাকর্মীদের ঢল বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ আছে। সাদিকের পিতার সাথে রাজনীতি করেছেন এমন কয়েকজন এতদিন অভিমান করে দূরে থাকলেও সাদিক তাদের টেনে নিতে ভুল করছেন না। স্বশরীরে না হলে নেতাকর্মী বাসায় পাঠিয়ে এবং মুঠোফোনে দীর্ঘক্ষণ আলোচনায় অতীত কর্মে অনুতপ্ত হয়েছেন জানিয়ে এই দুসময়ে পাশে অনুরোধ রাখেন। এতে অবশ্য বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতা সাড়া দিয়ে ছুটে এসে সাদিকের পাশেও দাঁড়িয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এক সময়কার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান। আরও অনেকে আছেন, যারা নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরে সাদিকের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মাঠে
নামার অঙ্গীকার করে আছেন। এছাড়া প্রতিদিনই তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপ কালিবাড়িতে পরিলক্ষিত হয়, হচ্ছে, বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে উপচে পড়ছেন কর্মী-সমর্থকেরা।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কর্ণধর সাদিক নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় জাহিদ ফারুক সমর্থিত নেতাকর্মীরা কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবিতে সরব আছেন। এবং সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে ওই বেফাঁস মন্তব্যের জন্য বহিস্কারেরও দাবি রেখেছেন কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডে। এবং জাহিদ ফারুকের অনুগতরা একত্রিত হচ্ছেন নৌকার পক্ষে কাজ করতে, তবে এখানে আ’লীগের পদধারী গুটিকয়েক নেতা আছেন মাত্র।
জাহিদ ফারুক অনুসারীদের দাবি, তাদের নেতাকে নৌকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের সাথেই আছেন এবং তারা নির্বাচনে যার প্রতিফল ঘটাবেন। যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। সাদিক আব্দুল গত কয়েক বছর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে থাকলেও নিজের মতো করে প্রতিটি ইউনিট কমিটি গঠণ করেছেন, আস্থা বা স্নেহভাজনদের সমন্বয়ে। ফলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের বড় অংশটি সাদিকের সাথেই আছেন। এছাড়া একটি অংশ আছেন যারা দুদুল্যমান, তারাও হয়তো প্রতীক বরাদ্দের পর জাহিদ ফারুক বা সাদিক আব্দুল্লাহ’র দিকে ধাবিত হবেন। সেক্ষেত্রে যদি অপেক্ষমান অংশটি জাহিদ ফারুকের অনুকূলে অবস্থান নেয়, তাহলেও কর্মীবাহিনী এবং আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাকর্মী নিজের সান্নিধ্যে বেশি পাবেন বলে ধারনা করছেন রাজনৈতিকেরা।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, বরিশাল সদরসহ আরও যে সব আসনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা আছেন, তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা হবে না হাইকমান্ড। অবশ্য এ কথা খোদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মিডিয়াকে অবহিত করেছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ভোট হবে সুষ্ঠু, এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হতে আসতে পারলে আসবে। এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে অনুরুপ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শীর্ষ দুই নেতার এমন বক্তব্যে সাদিক আব্দুল্লাহ’র নির্বাচনী উম্মাদনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে, তার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বেড়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।
এরই মধ্যে রোববার বরিশাল ৫ আসনে নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুকের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহ ঝুলে আছেন বলে জানা গেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম তার সভাকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে জাহিদ ফারুকের অনুসারী অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম রিটার্নিং জানতে চান, সাদিকপত্নী লিপি আব্দুল্লাহ’র নামে আমেরিকায় বাড়ি আছে, সেটা হলফনামায় উল্লেখ আছে কী না। এনিয়ে সেখানে বাড়াবাড়ি না হলেও আ’লীগ নেতা আফজালের এমন জিজ্ঞাসায় চটেছেন, সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারীরা। এমনকি আফজালকে নিয়ে সাদিক সমর্থিতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সগরম করে তুলেছেন, নেতিবাচক পোস্টে। রাতে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থীর আপত্তির প্রেক্ষিত্রে স্বতন্ত্র সাদিকের মনোনয়নপত্রটি স্থগিত করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
অবশ্য এই আফজালই একদিন আগে সাদিক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্ব অনুধাবন করে তাদের প্রার্তিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করা আহ্বান করেছেন। এবং সাদিকপন্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীরের বেফাঁস মন্তব্যের প্রতিবাদস্বরুপ বক্তব্যে আফজাল কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবিও রাখেন। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে এখন পর্যন্ত অনঢ় আছেন সাদিক আব্দুল্লাহ, তিঁনি ঘোষণাতেই নয়, কাজেও দেখাতে চাইছেন। এবং তার নেতাকর্মীদের মুখে একটাই কথা ‘খেলা হবে’ ৭ জানুয়ারি।
যদিও জাহিদ ফারুকের অনুসারীরা দাবি করে আসছিলেন, শেষ পর্যন্ত সাদিক আব্দুল্লাহকে ভোটের মাঠে থাকতে দেবে না আওয়ামী লীগ। শোনা যাচ্ছে, এই মিশন বাস্তবায়নে জাহিদ ফারুক বিশেষ মহলে সুপারিশও করেছেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় অবস্থান পরিস্কার করায় বরিশাল সদর আসনে নৌকার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ তা আর বলার সুযোগ থাকছে না।
শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভোট হবে সুষ্ঠু এবং এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরাচ্ছে না আওয়ামী লীগ, ফলে স্পষ্ট ধারনা মেলে তাহলে বরিশাল ৫ আসনে ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপসহ একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াইটা হবে জাহিদ ফারুক এবং সাদিক আব্দুল্লাহ’র মধ্যকার। সিটির পঞ্চম পরিষদের নির্বাচনে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে চেয়ার থেকে সরাতে কাজ করেছেন সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সাদিক আব্দুল্লাহ মনোনয়ন দেয়নি, তার আপন চাচা আবুল খায়ের ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনের কিছুদিন পরে বরিশালে ফিরে এসেই সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন সাদিক আব্দুল্লাহ। এবং নির্বাচনী প্রাকপ্রস্তুতিস্বরুপ তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করাসহ সমর্থিতদের মূলদল আ’লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করেন।
যদিও সাদিক সিটিতে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পরে কিছু নেতাকর্মী নৌকার সাথে থাকতে গিয়ে জাহিদ ফারুক এবং নতুন মেয়র আবুল খায়েরের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এবং বিগত সময়ে সাদিকে কর্মকান্ড অপছন্দ করতেন এমন অনেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন। বিশেষ করে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র সাথে রাজনীতি করতেন এমন কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ আ’লীগ নেতা সাদিককে এড়িয়ে চলছিলেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন জানান, সাদিকের কিছু বিতর্কিত কাজকে তারা সমর্থন করতে পারছিলেন না, যে কারণে কিছুদিন রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু সাদিক তার ভুলগুলো এখন বুঝতে পেরেছেন এবং আমাদের নিয়ে সামনে আগাতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে বরিশাল আ’লীগের রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে দুসময়ে সাদিকের পাশে এসে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
এই নেতার দাবি শুধু তিনি নন, প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা আফতাব হোসেনসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেকে সাদিকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। কেউ কেউ বাসায় এসে সময় দিয়ে নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনাও দেয়, দিচ্ছে। সন্ধ্যার পরে কালিবাড়িতে সাদিকের বাসায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ছে।
অবশ্য নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম মিডিয়ায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নির্বাচন প্রশ্নে সাদিক আব্দুল্লাহকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। এবং তার পক্ষে ৭ জানুয়ারি সদর আসনের মানুষ রায় দেবে বলেও আগাম আভাস দেন।
রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দুটি গ্রুপ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রীতিমত বাকযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উভয়গ্রুপ নির্বাচনী মাঠ আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে, সেক্ষেত্রে সমূহ সংঘাত-রক্তপাতের আশঙ্কাও থাকছে। কারণ সাদিক স্বতন্ত্র প্রার্থিতার প্রশ্নে অনঢ় আছেন এবং দলীয় হাইকমান্ডও তাকে প্রার্থী হতে বাধা দেবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। সেখানে আ’লীগের বড় একটি অংশ সাদিকের পক্ষে অবস্থান নিলে নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুকের নির্বাচনী কার্যক্রম কারা পরিচালনা করবেন এনিয়ে প্রশ্ন আছে নগরবাসীর মনে।
অবশ্য এই প্রশ্নে যুক্তি হিসেবে জাহিদ ফারুকের অনুসারীরা দাবি করছেন, ইতিপূর্বে সিটির মতো একটি নির্বাচন সাদিক এবং মহানগর আ’লীগ ছাড়াই সম্পন্ন করেছেন খোকন সেরনিয়াবাত, যেখানে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয় পেয়েছেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সংসদ নির্বাচনে বৈতরণী পার হতে চাইছেন নৌকা প্রার্থী। কিন্তু এত কম সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে জাহিদ ফারুক নৌকার বৈঠা ধরে ৪০ কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যের কীর্তনখোলা পাড়ি দিতে পারবেন কী না তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। বিশেষ করে সাদিকের কালিবাড়িতে আওয়ামী লীগের সাবেক এবং বর্তমান কয়েকজন বাঘা বাঘা নেতার আনাগোনাসহ কর্মীদের জনস্রোত নৌকার প্রার্থীকে ভোটের মাঠে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলবে বলে মন্তব্য পাওয়া যায়। আসলেই কী ৭ জানুয়ারি ভোটে এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে সেই আলোচনা শহরময় সরগরম তুলেছে এবং সাদিক বিরোধী শিবিরের যথারীতি ঘাম ঝরিয়ে দিচ্ছে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল।’