বরিশাল মহানগরের কমিটি বির্তকিত করার জন্য উঠেপরে লেগেছে একটি চক্র। দলের সভাপতি ও বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার স্বাক্ষর জাল করে একটি কমিটি সাজিয়ে মেইলের মাধ্যমে পত্রিকা ও বিভিন্ন প্রকাশনার দফতরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এমনকি স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মেইলে পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি বরিশালে দালিলিকভাবে আসার আগে এমন মেইলের মাধ্যমে ভিন্ন মদদের কমিটি প্রচার করে গোলক ধাঁধা বাধানোর চেষ্টা চলছে। এ চক্রান্ত বন্ধ করতে আজ থানায় ডায়েরি করবেন বলে জানিয়েছেন মহানগরের নতুন কমিটির সাধারন সম্পাদক এ্যাড. এ.কে.এম জাহাঙ্গির।
২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে নয়টায় raju computer নামের গুগল একাউন্টের [email protected] আইডি থেকে কমিটির তালিকা পাঠায়। কমিটিতে দেখা যায় সুকৌশলে প্রায় সবার পদ ঠিক রাখলেও হাতেগোনা কয়েকজনের পদ পরিবর্তন করা হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিতে সাদিক আব্দুল্লাহ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে থাকলেও মেইলে আসা কমিটির তালিকায় তাকে ৪২ নং সদস্য। মূল কমিটিতে মাহমুদুল হক খান মামুনকে সদস্য করা হলেও এখানে তার নাম সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূল কমিটিকে বির্তকিত করতে মহানগরে প্রত্যাশিতরা পদ না পাওয়ায় বির্তক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সূত্রের দাবী অনেকের ধারনা ছিল মহানগরের সভাপতি বা সম্পাদকের মত হাইকমান্ডেবল পোস্ট পাবেন বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ হিরন। এ নিয়ে কমিটি ঘোষণার আগে স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ তোলপাড় চলে আসছিল। একই অবস্থা ছিল সাদিক শিবিরে। কিন্তু কেন্দ্রে সাদিক আব্দুল্লাহ এগিয়ে থেকে যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক পদ পেলেও আশানুরুপ পদ পাননি এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ। এই আক্ষেপ থেকে জেবুন্নেছা অনুসারীরা কেউ তাদেরমত করে কমিটির তালিকা তৈরী করে পাঠাতে পারে।
অপর এক সূত্র জানিয়েছে, উড়ো মেইলের মাধ্যমে যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহকে হেয় করার ফন্দি করেছে চক্রটি। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন উড়ো মেইলটি কোন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হলেও এটা ভিন্ন একটা বার্তা বহন করে। তাদের মতে, ঘোষিত মহানগর কমিটি সাধারন রাজনৈতিক কর্মীদের আশার প্রতিফলন না হওয়ায় এমন হীন মতপ্রকাশের পন্থা অবলম্বন করেছে। কেন্দ্রের নেতাদের উচিত ছিল, মহানগরের তৃণমূলের মতামত গ্রহণ করা।
সাধারন সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গির জানান, উড়ো মেইলটি পাবার পর তা প্রিন্ট করে আমার কাছে রেখেছি। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যারা এমন কাজ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রির স্বাক্ষর জাল করেছে তারা আ’লীগের শত্রু। আমি কেন্দ্র ঘোষিত কমিটির ঘোষণাপত্র ৩০ অক্টোবর হাতে পাবো। হাতে পাবার পরপরই আইনের আশ্রয় নেব।
বরিশালের খবর, বিশেষ খবর, রাজনীতির খবর