চীনের সামরিক শক্তি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। চীনের এ সামরিক উন্নতি এত বিশাল আকারে হয়েছে যে, মার্কিন কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন ইতোমধ্যেই সামরিক দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন।
চীনের নৌ ও বিমান বাহিনী সবচেয়ে এগিয়ে গেছে বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের থিংকট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে চীন।
২০১৮ সালের বার্ষিক সামরিক ভারসাম্য প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে বিশ্বের সামরিক শক্তির উত্থানের গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (আলট্রা লং রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল) থেকে শুরু করে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান- এসবের উদ্ভাবন চীনের অগ্রগতি এবং অসাধারণ প্রযুক্তিগত ক্ষমতারই প্রকাশ।
চীনের নৌবাহিনী বিমানবাহী রণতরীসহ বেশ কিছু আধুনিক জাহাজ সংযোজন করেছে। গত বছর টাইপ-৫৫ ক্রুজার ছিল দেশটির সামরিক বহরে সংযোজিত সর্বশেষ যুদ্ধ জাহাজ- যা কিনা ন্যাটোভুক্ত যে কোনো নৌবাহিনীর জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ।
বিমান থেকে বিমানে (এয়ার টু এয়ার) আঘাত করে এমন ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে চীন পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে বেশি আলোচনায় আছে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। এতে রয়েছে রাডার ফাঁকি দেওয়ার প্রযুক্তি। এটি শব্দের চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং এটি অতি সূক্ষ্ম বিমান প্রযুক্তি দিয়ে নির্মিত।
Other