খাদিজাকে কোপানোর নির্মম দৃশ্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উপর্যপুরি কোপানো হচ্ছে খাদিজাকে। অসংখ্য মানুষ চিৎকার চেঁচামেচি করছে, কিন্তু কেউ তার সাহয্যে এগিয়ে যান নি।
এসময় খাদিজার পাশ দিয়েও এক লোককে হেঁটে যেতে দেখা যায়, কিন্তু বদরুলের ভয়ে ওই প্রত্যক্ষদর্শী ফিরেও তাকায়নি রক্তাক্ত খাদিজার দিকে।
এদিকে খাদিজা বেগম নার্গিসের অবস্থার ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। তাকে সোমবার রাত ১টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ভর্তি করা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে।
খাদিজা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষে কলেজ থেকে বের হলে খাদিজাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে কথিত প্রেমিক বদরুল।
খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস মোবাইলে ফোনে জানান, ঢাকায় আনার পরেই তার সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন অপারেশন করা যাবে, কিন্তু বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৫ শতাংশ। তবে অলৌকিকভাবে সে বেঁচে গেলেও আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে না। এজন্য আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ বদরুলকে আটক করেছে। সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শাহপরান থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি বলেন, বদরুলের সঙ্গে খাদিজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বদরুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর বিজ্ঞপ্তি, জাতীয় খবর