বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, ১৬ এপ্রিল ২০১৬
বরিশাল: বরিশালের বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেই কথিত ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোরশেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তাকে কীর্তনখোলা নদীর তীর মুক্তিযোদ্ধ পার্ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় খবর ছড়িয়ে পড়ে তাকে একটি রিভলবরসহ গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, তার কাছে কোন অস্ত্র পাওয়া যায়নি। বিগত সময়ে দায়ের করা এক ছাত্রলীগ নেতাকে কোপানো মামলায় সে এজাহারনামী হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিয়াজ মোরশেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগ বরিশাল ছাত্রলীগের কোন পদ-পদবিতে না থাকলেও টেন্ডার সন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা সন্ত্রাসী কার্যকালাপের সাথে জড়িত। ২০১৩ সালে তিনি বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অধ্যক্ষ শঙ্কর চন্দ্র দত্তকে প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে আলোচনায় আসেন।
সেই ঘটনায় তাকে জেলও খাটতে হয়েছিলো। কিন্তু মোটেও শোধরাননি। উল্টো জেল থেকে বেরিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। বিভক্ত বরিশাল ছাত্রলীগের একটি অংশের সাথে জড়িয়ে তিনি নিজেকে নেতা ভাবতে শুরু করেন।
এমনকি আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের বিশেষ দিনে তিনি বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ব্যানার সাটিয়ে নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেও জাহির করেন। অথচ বরিশাল জেলা বা মহানগর ছাত্রলীগে তার কোন পদ-পদবি নেই। যে বিষয়টি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াশিম দেওয়ান নিশ্চিত করেছেন।’
তবে পাসপোর্ট সোহাগ বরিশাল সদর আসনের সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এবং বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের মেয়াদোত্তীর্ণ কর্মপরিষদের কথিত ভিপি মঈন তুষারের আস্তাভাজন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখায়াত হোসেন জানিয়েছেন, সোহাগের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আহম্মেদ মুন্নাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলারও আসামি। ওইসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান ওসি। কিন্তু সর্বশেষ রাত সাড়ে ১১টার খবরে জানা গেছে, ছাত্রলীগের একটি অংশ গ্রেপ্তার সোহাগকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় অবস্থান নিয়ে পুলিশকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে।’