বরিশাল: সুন্দরবন এলাকা থেকে অপহৃত সেই ৪৭ জেলেকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযানে নেমেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৮)। অপহরণের একদিনের মাথায় বরিশাল র্যাবের একাধিক টিম তাদের উদ্ধারে সুন্দরবনে অবস্থান নিয়েছে। র্যাবের উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবিরের নেতৃত্বে বুধবার সকালে র্যাব সদস্যরা জিম্মি জেলেদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে।
সন্ধ্যা নাগাদ মুঠোফোনে এক ক্ষুদে বার্তায় র্যাবের এই চৌকশ কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, দস্যু দমনে সুন্দরবনে তাদের বিশেষ অভিযান চলছে। পরবর্তীতে প্রেসনোটে বিস্তারিত অবহিত করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই জিম্মি জেলেদের উদ্ধারে সফলতার খবর আসতে পারে। সেই সাথে দস্যুদের বাগে বা চরম খেসারত দিতে হতে পারে।
কারণ র্যাবের এই কর্মকর্তা এ ধরণের অভিযানে গিয়ে জেলেদের নিরাপদে উদ্ধার করে নিয়ে আসার নানা উদাহরণ রয়েছে। তাছাড়া দস্যুদের বুঝিয়ে শুনিয়ে দফায় দফায় আত্মসমার্পনের নজিরও সৃষ্টি করেছেন তিনি। সুতরাং এবারও সে ধরণের কিছু ঘটতে যাচ্ছে বলে র্যাবের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও র্যাবের এই শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে রাতে একাধিকবার অভিযান সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। সে ক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে, সুন্দরবনে শ্বাসরুদ্ধ অভিযানে র্যাব ব্যস্ত রয়েছেন।
সূত্রমতে, ঈদুল আযাহার পর পরই সুন্দরবন এলাকায় নদীতে হানা দিয়ে অন্তত ৪৭ জেলেকে নৌকাসহ অপহরণ করে নিয়ে যায় নোয়াভাই বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীতে অপহৃত জেলেদের সুন্দরবনে নির্জন দ্বীপে আটকে মুঠোফোনে জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃত জেলেদের মধ্যে অধিকাংশের বাড়ি বরিশালের বরগুনায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও বাগেরহাটের মংলায়। এই অপহরণের খবর বুধবার সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই রুদ্ধদার অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল র্যাব। যদিও বরিশাল র্যাবের একটি টিম সুন্দরবনে জেলেদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু এবারের অপহরণের ঘটনা বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করায় বরিশাল থেকে র্যাবের একাধিক টিম অভিযান করার উদ্যোগ নেয়।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর