বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
বরিশাল: গৌরনদী উপজেলার টরকী-রাজিহার সড়কে গৌরনদী-বাসাইল খালের ওপর লোহার সেতুটি ধসে পড়ায় ২৬ দিন ধরে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চার গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ না করায় চারটি গ্রামের মানুষকে অন্তত ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে গৌরনদী সদর ও আগৈলঝাড়া সদরে যেতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরিশাল কার্যালয় ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ধানডোবা বাজারের পশ্চিম পাশে গৌরনদী-বাসাইল খালের ওপর ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে স্বল্প ব্যয় প্রকল্পের অধীন ৫৫ ফুট দীর্ঘ একটি আরসিসি লোহার সেতু নির্মাণ করা হয়।
এতে ব্যয় হয় প্রায় ২৩ লাখ টাকা। সেতুটির ওপর দিয়ে মূলত ছোট ও মাঝারি আকারের যানবাহন চলাচল করত। উপজেলার ধানডোবা, নন্দনপট্টি, বেজগাতি ও উত্তর ধানডোবা গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। পাঁচ বছর ধরে এটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। এলাকাবাসী কাঠ ও বাঁশ দিয়ে কোনোরকমে মেরামত করে সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করত।
গত ২২ আগস্ট দুপুরে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় সেতুটির মাঝের স্প্যানটি ধসে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির মাঝের স্প্যানটি খালের মধ্যে পড়ে আছে। দুই পাশে কোনো রেলিং নেই। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
ধানডোবা গ্রামের আবদুস সালাম (৪২) ও নন্দনপট্টি গ্রামের মনির সরদার (৩৫) অভিযোগ করেন, সেতুটি ধসে পড়ার পর এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান (৫২) বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা না হলে ধানডোবা, নন্দনপট্টি, বেজগাতি ও উত্তর ধানডোবা গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। বর্তমানে এই চার গ্রামের মানুষকে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন হয়ে গৌরনদী সদর ও আগৈলঝাড়া সদরে যেতে হচ্ছে।এতে অন্তত ১০ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হচ্ছে।
বার্থী ইউপির চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্যাদা গতকাল শুক্রবার বলেন, সেতুটি ধসে পড়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও এটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এলজিইডির গৌরনদী উপজেলা প্রকৌশলী ফজল আহম্মেদ গতকাল বলেন, সেতুটি মেরামত করা সম্ভব নয়। এটি নির্মাণের জন্য জরুরিভাবে প্রাক্কলন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হবে।