বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৫:৪২ অপরাহ্ণ, ১০ জুলাই ২০১৭
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে আটকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতারক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে মামলা করলে রোববার (০৯ জুলাই) রাতে ধর্ষকের পিতাকে আটক করে পুলিশ।
মামলা দায়েরের খবরে পলাতক ধর্ষক কলেজছাত্র নাইমুল ইসলামকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নে।
পুলিশ জানায়- কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক মিলনে বাধ্য করে প্রেমিক কলেজছাত্র নাইমুল ইসলাম। এরপরও যৌনসঙ্গমসহ অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বিভিন্ন ধরনের ছবি মোবাইলে ধারণ করে।
পরে মেয়েটি বিয়ের প্রশ্ন তুললে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ও ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে সব ঘটনা চেপে যেতে বলা হয়।
কিন্তু পরক্ষণে বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে প্রেমিক কলেজছাত্র নাইমুল ইসলাম কৌশলে সটকে পড়ে।
এ সুযোগে নাইমুলের বাবা আবুল হোসেন, মা ময়না বেগম, বোন জুলিয়া বেগম, বোন জামাই মো. ইব্রাহিমসহ কয়েকজন মিলে স্থানীয় মস্তান বাহিনী ডেকে খুনের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নাইমুলের বৈদ্যপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে কিশোরীকে কোম্পানিপাড়া তার বাবার বাড়িতে রেখে আসে।
কিশোরী জানায়, মানসিকভাবে সে অচেতন হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরও প্রতারক প্রেমিক নাইমুল ফের নিজেকে রক্ষার জন্য নানান কৌশল করে ফের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬ জুন থেকে ১৩ জুন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রেখে তাকে আবারও ধর্ষণ করে নাইমুল।
ওই সময় বিয়ের কথা বললে কলাপাড়া উপজেলা মহিলা অধিদফতর কার্যালয়ে গিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বিয়ের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয় নাইমুল।
নাইমুলের কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তার সঙ্গে ঈদের দিন ফের ওই বাড়িতে যায় প্রেমিকা কিশোরী। কিন্তু নাইমুলের বাবা-মা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সটকে পড়ে ছেলে। এক পর্যায়ে তাড়িয়ে দেয়া হয় কিশোরীকে।
এরপর থেকে দরিদ্র কিশোরী সর্বস্ব হারিয়ে অসহায়ের মতো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে। কোন উপায় না পেয়ে স্বামীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রোববার রাতে কলাপাড়া থানায় প্রতারক প্রেমিক নাইমুলসহ ৬জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই রাতেই নাইমুলকে গ্রেফতার করতে না পারলেও তার বাবা আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শাহনেওয়াজ জানান- কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”