ঝালাকাঠি নলছিটি উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রেজাউল চৌধুরীকে অবশেষে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা বরিশালটাইমসে শনিবার সকালে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর বিকেলে তাকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে থানা হেফাজতে রেখে চালানো হয় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ। পৌর শহরের বাসিন্দা জলিল চৌধুরীর ছেলে রেজাউল চৌধুরী এলাকায় একটি মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।
পেশায় ডিস ব্যবসায়ি হলেও মাদক ব্যবসা থেকে শুরু নানা অপরাধের সাথে তিনি জড়িত। রয়েছে তার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনায় অগ্রসরের আগেই তিনি বাহিনী নিয়ে প্রস্তুতি নেন।
ওই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে রয়েছে উপজেলার নান্দিকাঠি গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে বোমারু রমিজ, ছোহরাব ডাক্তারের ছেলে সাবু এবং হান্নান পুলিশের ছেলে মিঠু।
এই তিন সহযোগিকে নিয়ে সম্প্রতি একস্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে সড়কে দাড় করিয়ে টানা হেচড়া করে। সেই ঘটনার বেশ কয়েকটি স্থির চিত্র শনিবার সকালে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ওয়ালে পোষ্ট করেন। ওই পোষ্টের স্থির চিত্রে দেখা যায় রেজাউলের ভয়ার্ত সন্ত্রাসের তটস্থ হয়ে স্কুলছাত্রী কখনও হাত কখনও পা ধরে ক্ষমা চাইছে।
কিন্তু ওই ছাত্রীকে কোন মতেই না ছেড়ে দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তাছাড়া তার সাথে থাকা বোমারু রমিজের কোমরে একটি পিস্তল দেখা যায় ওই স্থিরচিত্রে। মুলত সেখানে তুলে ধরা তথ্য বিশ্লেষণে করে একটি অনলাইন পত্রিকা সংবাদ তুলে ধরে। সেই সংবাদটি ঝালকাঠি জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক রেজাউলকে হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ আশে।
মুলত সেই নির্দেশ পাওয়ার পরপরই নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাড়াশি অভিযান চালিয়ে আটক করেন। পরবর্তীতে তাকে থানায় আটকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়।
ওসি জানিয়েছেন, সংবাদ প্রকাশের পর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হবে কিনা এমন প্রশ্নে ওসি বলেন- আলামত পেলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা।’’
শিরোনামঝালকাঠির খবর, বরিশালের খবর, বিভাগের খবর