বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আগামী নির্বাচন করতে চায় বিএনপিকে বাদ দিয়ে। সে জন্যই নজিরবিহীন তাড়াহুড়ার মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে এই মামলা শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বহু আগেই রায় দিয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলির কে এম দাশ লেনে প্রয়াত ঔপন্যাসিক শওকত আলীর বাসায় পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
রায় নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, রায় ঘোষণার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিমূলক আগাম বক্তব্য সংগত নয়। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, তাঁরা কী চিন্তা করছেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো রায় পাইনি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। তাহলে কোথায় যাবেন?’ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন আগে থেকেই সরকারের লোকজন এই মামলা নিয়ে আগাম বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বহু আগেই রায় দিয়ে দিয়েছেন। নিশ্চয় মনে আছে, অনেক আগেই তিনি বলে দিয়েছিলেন এতিমের টাকার ব্যাপারে। অন্য মন্ত্রীরা বলছেন। তাঁরা প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি ক্ষণ তাঁরা হুমকি দিয়েছেন, শক্তি প্রয়োগ করেছেন, বলপ্রয়োগ করেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, কয়েক দিন আগে এরশাদ সাহেব রংপুরে বলেছেন, আর মাত্র কয়েক দিন, তারপর জেলে যেতে হবে। তাঁর দলের একজন প্রতিমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের এ ধরনের কথায় প্রমাণিত হয়, রায় পূর্বনির্ধারিত, পরিকল্পিত। এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রয়াত ঔপন্যাসিক শওকত আলীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বড় ছেলে আসিফ শওকত কল্লোল, স্ত্রী ফারজানা আফরোজসহ আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘পরিবার দিবস’র অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
শিরোনামজাতীয় খবর, রাজনীতির খবর