স্বামী ইদ্রিস হাওলাদারে ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের বিচারের দাবি করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন স্ত্রী মালা বেগম। শুক্রবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী শহিদুল হাওলাদারসহ তার নিকটাত্মীয়দের সাথে তার স্বামী শহিদুল হাওলাদারের সাথে কৃষিজমি এবং মনসাতলী স্লুইজ খালে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
মালা বেগম বলেন, গত ১৬ অক্টোবর ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামের মো. শহিদুল হাওলাদার, আ. কাদের প্যদা, শহিদুল ইসলাম, মো. শাহিন প্যাদাসহ প্রায় ২৫/২৬ সন্ত্রাসী বেড়িবাধের উপর ফেলে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দ্যেশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় চিৎকার শুনে আমার জা নুরভানু বেগম ও নাতী মো. রেদওয়ান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় তারা ও গুরুতর জখম হয়। ওই দিনই তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে চিকিৎধীন অবস্থায় ইদ্রিস হাওলাদারের আবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ঘটনায় ১৭ আক্টোবর আ. কাদের প্যাদাকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নামে মহীপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর ওই সন্ত্রাসী চক্রটি তার বসত ঘরে গিয়ে ফের হামলা চালায় জানিয়ে মালা বেগম বলেন, সর্বশেষ গত বুধবার রাতে আমার ঘের থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ওই চক্রটি ধরে নিয়ে যায়। এমনকি প্রকাশ্য দিনের বেলা সন্ত্রাসী চক্রটি বাড়ি থেকে গরু, ছাগল ও হাসঁ-মুরগী ধরে নিয়ে গেছে।
এই চক্রটি এতই দাঙ্গা প্রকৃতিক যে এলাকার মানুষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। বর্তমানে গোটা পরিবার ওই সন্ত্রাসী চক্রটির ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছে। এই ঘটনার বিচার চেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহীপুর ইউপি সদস্য রানী বেগম, আহত ইদ্রিস এর বোন জরিনা বেগম, পারভীন বেগম প্রমূখ। মহিপুর থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, মামলার ১নং আসামী বাদে বাকী সকল আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে তার বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা তাদের জানানো হয়নি। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।