বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:০৭ অপরাহ্ণ, ০৪ মে ২০১৭
স্বজনদের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত চাওয়ায় বরগুনায় এক গৃহবধূকে মেরে গুরুতর আহত করেছে তার স্বামী। পরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর। এমকি এই ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ গৃহবধূর।
বুধবার (৩ মে) রাত ১১টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের কেজি স্কুল এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর হাসিনা কলি কেজি স্কুল এলাকার মো. শানু মৃধার স্ত্রী।
হাসপাতালের বেডে চিকিৎসারত অবস্থায় কলি বরিশালটাইমসকে জানান, তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর তার স্বামী দুটি হত্যা মামলার আসামি হন। এ মামলায় ব্যয় ভার বহন করতে বিভিন্ন সময় তিনি তার স্বজনদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার এনে তার স্বামীকে দেন।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে এসব টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত চাইলে স্বামীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হতো। এতে তার স্বামী শানু মৃধা তাকে মারধরও করতেন।
বুধবার এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে বেদম প্রহার ও লাথি মেরে মারাত্মকভাবে আহত করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় তার স্বামীকে আটক করলেও ওই রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনা সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর।
স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত স্বামী শানু মৃধার বলেন, এটি একটি সাজানো ঘটনা। আমাকে ফাঁসাতে আমার স্ত্রী ও তার স্বজনা আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাসুদুজ্জামান ভুক্তভোগী গৃহবধূ হাসিনা কলির স্বামীকে আটকের কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় কেউ মামলা করতে থানায় আসেনি। এ ঘটনায় যদি কেউ মামলা করতে আসে, তাহলে মামলা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।