৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

হতাশার সাগরে তাসকিন-সানি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:১০ অপরাহ্ণ, ১৯ মার্চ ২০১৬

ভাগ্যটা যেন জানতেন আরাফাত সানি! এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হওয়া বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে সবচেয়ে সপ্রতিভ ছিলেন এ বাঁহাতি স্পিনার। সতীর্থদের সঙ্গে খুঁনসুটিঁ করছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গেও মজা করছেন। চিন্তার লেশমাত্র দেখা যায়নি সানির চোখেমুখে। নেটে বোলিং করলেন অনেকক্ষণ। অনুশীলনের সবকিছুই করলেন। আগেই জানতেন, আজই আইসিসি তার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার রিপোর্ট দিবে।

 

চিন্তা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বলেছেন, “ভাই, চিন্তা করে লাভ কি। যা হবার হবে। আল্লাহ যা দিবে, সেটাই ঠিক। এটাই জীবনের শেষ না।” আরাফাত সানির তুলনায় একটু কম হলেও তাসকিন আহমেদকে স্বাভাবিকই দেখা গেছে। তরুণ এ পেসার অনুশীলন করেছেন গোটা দলের সঙ্গে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। ছবি তুলেছেন, সইশিকারীদের তুষ্ট করেছেন। দ্রুত গতির পেসার অবশ্য পরীক্ষার পরও বেশ আশাবাদী ছিলেন।

 

আরাফাত সানি পরীক্ষা দেয়ার পর কোনো উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। কিন্তু তাসকিনকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল গোটা দল। বিশেষ করে বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন বৈধতা পাবে। সম্প্রতি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বোলিং করছিলেন তাসকিন। এশিয়া কাপ থেকেই এ তরুণের বোলিংয়ে নতুন ঝাঁঝ যুক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলার তিনি।

 

বাউন্সার, গতির ঝড়, দুর্দান্ত ইয়র্ককার দিয়ে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তাসকিন। চিন্নাস্বামীর মাঠ থেকে আউটার অনুশীলনের মাঠে যাবার পথে বোলিং অ্যাকশনের রিপোর্ট নিয়ে চিন্তার বিষয়ে প্রশ্ন করলে এ পেসার বলেন, “একটু তো চিন্তা হয় হই। তবে কি ভাই, আমি এখন একটা জিনিস করেছি। তা হলো, সব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিছি। যা হয়, উনি করে দিবেন। ইনজুরির পর নানাভাবে জীবনকে দেখেছি। বিপিএলেও যখন আমি ভালো করি নাই, তখন চারপাশে অনেক কিছু শুনছি।

 

তারপর থেকেই আল্লাহর উপর ভরসা করে আছি। এখন বোলিংয়ে রিদমে আছি। ওটা চিন্তা করে খেলা যায় না। যে আসে আসুক।” শনিবার বিকেল ছয়টার দিকে আনুষ্ঠানিক ই-মেইল দিয়ে তাসকিন-সানির বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার রিপোর্ট জানিয়েছে আইসিসি। দুজনকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সানির বেশিরভাগ বলেই কনুই নির্ধারিত সীমা ১৫ ডিগ্রি এর বেশি বেঁকে যায়। অবশ্য তাসকিনের সব বল অবৈধ ছিল না।

 

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই তাদের দুজনের বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। পরে সানি ১২ মার্চ ও তাসকিন ১৫ মার্চ বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন চেন্নাইয়ে। দিনভর সহজ, স্বাভাবিকভাবে দলের সঙ্গে অনুশীলন শেষে পড়ন্ত বিকেলে হতাশার সাগরে ডুবে গেলেন তাসকিন-সানি।

34 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন