হিজলায় ৬ শত শিক্ষকের দুই মাসের বেতন নিয়ে এনজিও উধাও
হিজলা প্রতিনিধি।। বরিশালের হিজলা উপজেলায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৌলিক সাক্ষরতা চৌষট্টি জেলা প্রকল্পের আওতায় গত ৮ ডিসেম্বর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চন্দ্রদ্বীপ নামক একটি এনজিও মাধ্যমে তিনশত কেন্দ্রে ৬ শত শিক্ষকের নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে তিনশত পুরুষ ও তিনশত মহিলা। ছয় মাসের এই প্রকল্পের মেয়াদ জুনে শেষ হয়েছে।
মাসিক সম্মানি ভাতা ২৪ শত টাকা করে। শিক্ষকদের দাবি দীর্ঘ ছয় মাস শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান দিয়েছে। কেন দুই মাসের সম্মানী দেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষকরা বলেন দেই দিচ্ছি বলে ঘরে মুশি করে তারা এখান থেকে চলে গেছে।
দুর্গাপুর ও শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সোহাগ জানায় চন্দ্রদ্বীপ নামক একটি এনজিওর মাধ্যমে আমরা শিক্ষকতা করেছি ছয় মাসের এই প্রকল্প শেষ হয়েছে। আমরা চার মাসের বেতন পেয়েছি দুই মাসের বেতন না দিয়েই এনজিওর লোকজন চলে গেছে এখন ফোন করেও তাদেরকে পাওয়া যায় না।
মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার শফিক আহমেদ বলেন অডিট করে কিছু কেন্দ্রের শিক্ষকদের অনুপস্থিতির একটি প্রতিবেদন দেয়ায় বেতনের জটিলতা দেখা দিয়েছে খুব শীঘ্রই জটিলতা কেটে যাবে এবং শিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য সম্মানী পাবে।
চন্দ্রদ্বীপ এনজিওর নির্বাহী পরিচালক সপ্না এ বিষয় মোবাইল ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন অনেক কেন্দ্রে শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস না করার একটি অভিযোগ বরিশাল সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছে যার কারণে সাময়িকভাবে সম্মানী ভাতা স্থগিত রয়েছে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে সম্মানী ভাতা দেয়া হবে।
বরিশালের খবর, বিভাগের খবর