বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, ০৫ জানুয়ারি ২০২০
বার্তা প্রতিবেদক, বরিশাল:: ২৫ দিন ধরে নিখোঁজ বরিশাল নগরীর মমতাজ মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বৈশাখী দাস (১৪)। এ ঘটনায় বৈশাখীর বাবা কৃষ্ণ দাস কাউনিয়া থানায় জিডি করে মেয়ের সন্ধানে পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন।
‘মেয়ে নিখোঁজের পর থেকে প্রতিদিন থানায় যাই। খোঁজ নিই মেয়ের সন্ধান পাওয়া গেল কি-না। জিডির পর থেকে পুলিশ একই কথা বলছে বার বার। দু’একদিনের মধ্যেই বৈশাখীকে খুঁজে পাওয়া যাবে, অপেক্ষা করুন। এভাবে ২৫ দিন কেটে গেল। পুলিশের দু’একদিন আর শেষ হয় না।’
এমন আক্ষেপ করে কথাগুলো বলেছেন বৈশাখীর বাবা নগরীর কাউনিয়া ক্লাব রোডের বাসিন্দা কৃষ্ণ দাস। তিনি বলেন, পুলিশের এ নিয়ে কোনো ধরনের তৎপরতা আমার চোখে পড়েনি। থানায় গেলে পুলিশ কর্মকর্তরা শুধু আশ্বাস দেন। বলেন দু’একদিনের মধ্যেই বৈশাখীকে খুঁজে পাওয়া যাবে। আসলে পুলিশ খোঁজই করে না।
গত ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয় বৈশাখী দাস। এ ঘটনার পর তার বাবা কৃষ্ণ দাস কাউনিয়া থানায় জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কাউনিয়া ক্লাব রোডের বাসা থেকে বের হয় বৈশাখী। পরে আর বাসায় ফেরেনি। সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও তার সন্ধান মেলেনি।
বৈশাখীর স্বজনরা জানান, বৈশাখীর বাসার পাশেই মামুন নামে এক যুবক বসবাস করত। প্রায়ই বৈশাখীকে উত্ত্যক্ত করত মামুন। তার পরিবার প্রভাবশালী। মামুন বৈশাখীকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে। পুলিশকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও বৈশাখীকে উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশের আগ্রহ নেই।
বৈশাখীর বাবা কৃষ্ণ দাস বলেন, জিডি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কাউনিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশারকে। নিখোঁজের পর থানায় গিয়ে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকি। মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশের কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে না আমার। তদন্ত কর্মকর্তা আবুল বাশারের কাছে গেলে তিনি বলেন দুই-একদিনের মধ্যেই বৈশাখীকে খুঁজে পাওয়া যাবে। এভাবে প্রায় এক মাস হয়ে গেল। এখনো বৈশাখীর সন্ধান পাইনি।
তদন্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, বৈশাখীকে উদ্ধারে বিভিন্নভাবে তৎপরতা চলানো হচ্ছে। বিভিন্ন থানায় ছবি ও বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বৈশাখী পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে আছে। কারিগরি কিছু সমস্যার কারণে বৈশাখীর সঠিক অবস্থানের স্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে বৈশাখীকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।