বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, ০২ জানুয়ারি ২০২০
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: বাবা-মায়ের পরিচয় না থাকার কারণে প্রায় ৪৫ বছর বয়সেও ভোটার হতে পারেননি জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বসবাসকারী পিন্টু নামের এক ব্যক্তি। তিনি পাঁচবিবির নিমতলীর একটি হোটেলে কাজ করেন।
বাবা-মায়ের পরিচয় না জানার কারণে আজো তিনি দেশের বৈধ নাগরিকের পরিচয় বহন করতে পারছেন না। পাঁচবিবি পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ সংগ্রহ করে একাধিক বার উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে ঘুরেও বাবা-মায়ের ভোটার আইডি দেখাতে না পারায় কপালে জুটছে না তার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র। এবিষয়ে পিন্টু দীর্ঘ নিঃশ্বাষ ফেলে বলেন, আমি আমার আসল পরিচয় জানি না। কে আমি? কী আমার আসল জন্ম পরিচয়?
জানা যায়, জন্মের পর আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে ১ বছরের শিশু পিন্টুকে পাঁচবিবি রেলস্টেশনে কাগজে জড়ানো অবস্থায় কুড়িয়ে পায় পাঁচবিবি বাজারের বাঁশিনাথের শ্বশুর মৃত প্রিয় গোপাল কুন্ডু। পরে তিনি শিশুটিকে বাঁশিনাথের সিবেন কুন্ডুর হাতে তুলে দেন।
পাঁচবিবি বাজারের বাঁশিনাথ বলেন, পিন্টু তাদের পরিবারে লালন-পালনে বড় হতে থাকে। ১২/১৫ বছর বয়সেই সে অন্যের দোকানে ও হোটেলে কাজ নেয়ার পর সে আমাদের বাড়ি আর আসে না।
পাঁচবিবি বাজারের নিমতলীর কুশ হোটেলের মালিক কুশ বিশ্বাষ বলেন, পিন্টু প্রায় ৩০ বছর ধরে আমার হোটেলে বয়ের কাজ করে আসছে। পিন্টুর সততা, সত্যবাদিতা ও যে কোনো কাজে ফাঁকি না দেয়ার জন্য তাকে আমি অন্য কোথাও যেতে দেই না। শুধু তার জন্মদাতা পিতা-মাতার সঠিক পরিচয়ের অভাবে আজও সে দেশের নাগরিকের অধিকার পেল না।
অপরদিকে সিবেন কুন্ডু বলেন, পিন্টুর বাবা সাজতে গেলে তো কয়েক দিন পরে আমার সস্পত্তির ভাগ বসাতে আসবে অন্যের বুদ্ধি শুনে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, বাবা- মায়ের সঠিক পরিচয় ছাড়া ভোটার হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।