বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৬:০৩ অপরাহ্ণ, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮
সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের বার্ষিক আয় বেড়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। আর দায়-দেনা কমে অর্ধেক হয়েছে। ২০১৪ সালের ও এবারের নির্বাচনে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৪ সালের হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর আয়ের প্রধান উৎস ছিল ব্যবসা। বছরে ৬ লাখ টাকা আয় ছিল ব্যবসা থেকে। আর ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আয় করতেন টেলিভিশন টক শো থেকে। মোট বার্ষিক আয় ছিল ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সব মিলে এই সময়ে তাঁর বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯২ হাজার ৩৯২ টাকা।
২০১৪ সালের হলফনামায় রাশেদ খান মেননের নিজের নামে অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছিল ১ কোটি ৬৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দামের দুটি গাড়ি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ১০ লাখ ২৬ হাজার, নগদ ছিল দেড় লাখ। ওই সময় তাঁর স্ত্রীর নামে ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রসহ অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ২৮ লাখ টাকার।
এবার মেননের অস্থাবর সম্পদ কমেছে। একটি টয়োটা প্রাডো জিপ গাড়িসহ বর্তমানে তাঁর অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য ৬৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। আর নগদ রয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। তবে তাঁর স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ কিছু বেড়ে হয়েছে ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৩০ টাকা। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্রই আছে ৪৫ লাখ টাকার।
আগেরবারের হলফনামায় রাশেদ খান মেননের নিজের নামে স্থাবর সম্পদ ছিল ৩০ লাখ টাকা আর স্ত্রীর নামে ছিল ৫০ লাখ টাকা। এবারের হলফনামায় মেননের স্থাবর সম্পদের মূল্য হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ টাকা। এর মধ্যে আছে প্রায় দেড় কোটি টাকা দামের একটি অ্যাপার্টমেন্ট/বাড়ি।
মেননের যে দায়-দেনা তার সবই ‘হাত লোন’ যা বন্ধু-স্বজনদের কাছ পাওয়া যায়। ২০১৪ সালের হলফনামায় মেননের এ ধরনের দায় ছিল ২০ লাখ টাকার। এবারের হলফনামায় তা ১০ লাখ টাকায় নেমেছে।’