বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে লাশঘাটা-আগরপুর খালের উপর স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত পাঁচ সহস্রাধিক মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে পড়েছে। এতে বহুমুখী দুর্ভোগে পড়েছে পাঁচ গ্রামের মানুষ।
বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের (আগরপুর) সীমান্তবর্তী সন্ধা নদীর লাশঘাটা খেয়া ঘাট সংলগ্ন লাশঘাটা আগরপুর খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো এলাকাবাসীর।
কিন্তু সেতুটির ব্যাপারে বিগত দিনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বহু দেন দরবার আর প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্মাণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কেউ। অতঃপর দীর্ঘ দশ বছর পূর্বে এলাকাবাসী উদ্যোগে চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয় প্রায় ১শত ফুট লম্বা একটি বাঁশের সাঁকো।
জনশ্রুতি রয়েছে বাবুগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় বাঁশের সাঁকো এটি। গত কয়েক কয়েকদিনের বর্ষণ ও জোয়ারের পানির তোরে ভেঙে গেছে বহু পুরনো ও দীর্ঘ ওই বাঁশের সাঁকোটি। ফলে লাশঘাটা থেকে আগরপুর খাল দিয়ে বিভক্ত দু’পারের পাঁচ গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আজিজুল হক জানান, চাঁদা তুলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিলো ওই সাঁকো। যা দিয়েই ইউনিয়নের উত্তর ভূতেরদিয়া, রহিমগঞ্জ, ব্রাক্ষমদিয়া, কিসমৎ ঠাকুর মল্লিক, চর ফতেপুরসহ ৫ গ্রামের প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিলো এ বাঁশের সাঁকো। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও নিম্নচাপের ফলে জোয়ারের পানির চাপে সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রায় চার কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করছে। স্থানীয়দের প্রাণের দাবি হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সন্ধা নদীর লাশঘাটা খেয়া ঘাট সংলগ্ন লাশঘাটা-আগরপুর খালের উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করবে।
জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তারিকুল ইসলাম তারেক বরিশালটাইমসকে বলেন, এলাকাবাসী সাঁকোটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিলে আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। তবে এখানে একটি পাকা সেতু দরকার। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
শিরোনামবরিশালের খবর