দেশব্যাপী রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় যেন রেলপথ ছুঁয়ে যায় সেই ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন।
চীন থেকে আরও দু’শ’ কোচ কেনা হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য। কোচগুলো কিনতে ৯২৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
আগামী ২০২০ সালের মধ্যে কোচগুলো সংযুক্ত হবে রেলওয়ের বহরে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সব মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ সেকশনে এ যাত্রীবাহী কোচগুলোকে ব্যবহার করা হবে। কোচগুলো কেনার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশব্যাপী রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ৬৪টি জেলায় যাতে করে কোনো না কোনোভাবে রেলপথ ছুঁয়ে যায় সেই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে রেল কোচ তৈরি করা হয় না। বাংলাদেশে যাতে রেলকোচ তৈরি করা যায় সেই বিষয়েও গুরুত্বারোপ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেক সভায় ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রস্তাবিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। ‘ঢাকার আজিমপুরে জুডিশিয়াল কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজিমপুরে সব পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। এ স্থানে কয়েকটি বহুতল ভবন সমস্ত মানুষের আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। বাকি জমিতে খেলার মাঠসহ সাধারণ মানুষের হাঁটা চলার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সুরেশ্বর খাল পুনঃখনন ও নিষ্কাশন প্রকল্প এবং ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ৫৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল কলেজের পাশে একটি নার্সিং প্রতিষ্ঠান করতে হবে।
৫০ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত প্রয়াসের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘শ্যামগঞ্জ-জারিয়া-বিরিশিরি-দূর্গাপুর জেলা মহাসড়ককে জাতীয় মহাসড়কমানে উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১৬ কোটি টাকা।
সংশোধিত আকারে ‘রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন আপগ্রেডেশন‘ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৯৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
প্রকল্প প্রসঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বেশ কিছু স্থানে সোলার স্থাপন করা হয়েছে। সোলার থেকে যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তা জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে হবে।
জাতীয় খবর, টাইমস স্পেশাল