১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম

অন্ধকার মনপুরা দ্বীপবাসী সোলার গ্রিডে আলোকিত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯

এখন আর অন্ধকারে নেই ভোলার বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরার সাধারণ মানুষ। মনপুরা উপজেলায় প্রায় ১ একর জমির ওপর স্থাপিত সোলার মিনি গ্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র বদলে দিয়েছে দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রা। তথ্য প্রযুক্তিসহ নানান ক্ষেত্রে এসেছে পরিবর্তন। ঘরে বসে টেলিভিশনে দেখতে পাচ্ছেন দেশ-বিদেশের নানান খবরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এছাড়াও বিদ্যুতের উপর নিভর করে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। স্বাবলম্বী হচ্ছেন মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে- ভোলার মনপুরা উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় ৯২ শতাংশ জমির উপর ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সোলার মিনি গ্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে সোলার ইলেকট্রো বাংলাদেশ লিঃ কোম্পানি কেন্দ্রটি স্থাপনের কাজ শুরু করে। ২০১৫ সালে কাজ শেষ হয়। এখানে ১৭৭ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

বর্তমানে স্কুল, কলেজ, বরফ মিল, স’মিল, মুড়ির মিল, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক মিটার গ্রহকের সংখ্যা ৫৭৮ জন। ২৪ ঘণ্টা সোলার মিনি গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন এলাকাবাসী।

বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মোতালেব হোসেন বলেন, আমরা আগে অন্ধকারে জীবন কাটাতাম। এখন মিনি গ্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়ায় আমাদের মনপুরা আলোকিত হয়েছে।

গৃহিণী কামরুন নাহার বলেন, বিদ্যুৎ আসায় আমাদের জীবনের মান উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার মান বেড়েছে। আগে সন্ধ্যার পর হারিকেনের আলোয় বাচ্চারা পড়াশুনা করতো। বেশি সময় পড়তে পারতো না। এখন অনেক রাত পর্যন্ত বিদ্যুতের আলোয় পড়াশুনা করতে পারে।

ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, আগে বেকার ছিলাম। বিদ্যুৎ আসায় দোকান ভাড়া নিয়ে ফটোকপি, কম্পিউটারের দোকান দিই। মানুষের দৈনন্দিন ও অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত কাজগুলো সহজেই করতে পারি।

উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ আসায় এলাকায় বেকারত্ব অনেক কমেছে। বিদ্যুতের উপর ভিত্তি করে অনেক ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। বিদ্যুৎ ভিত্তিক যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। চুরি-ডাকাতিও আর নেই। মানুষ কর্মমুখী হচ্ছে।

সোলার ইলেকট্রো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিএম মুজিবর রহমান জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনকালে ডিজাইন ও মডেলের ভুলের কারণে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। এলাকায় অনেক নতুন সংযোগের চাহিদা থাকলেও দিতে পারছি না। এতে কোম্পানি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেন, সোলার মিনি গ্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ফলে মনপুরা উপজেলার ২০ ভাগেরও বেশি মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া আরও দুটি সোলার মিনি গ্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র ও একটি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন