১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

অপরাধের রাজা প্রদীপের ইয়াবা নাটকে কারাগারে নির্দোষ প্রবাসী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৩২ অপরাহ্ণ, ১০ আগস্ট ২০২০

বার্তা পরিবেশক অনলাইন:: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যাকাণ্ডের পর ক্রমান্বয়ে বেড়িয়ে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ দাশের অন্ধকার জগতের তথ্য। ক্রসফায়ার ‘বাণিজ্য’, ইয়াবা দিয়ে নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো ও মাদক ব্যবসায় মদত দেয়ার মাধ্যমে টাকা কামানোর নেশায় পরিণত হয়েছিল প্রদীপের।

মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের পর অপরাধের রাজা সাবেক ওসি প্রদীপের আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এবার জানা গেছে এক দুবাই প্রবাসীর জীবনকে তছনছ করার ঘটনা। এই প্রবাসীর মতো একইভাবে আরো অনেকের জীবন এলোমেলো করেছে ওসি প্রদীপ। তার গ্রেফতারের পর মুখ খুলছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, টেকনাফ সদর ইউপির ছোটো হাবিরপাড়ার আবু তাহেরের দ্বিতীয় ছেলে মহিউদ্দিন কামাল। তিনি ছিলেন দুবাই প্রবাসী। ঈদের জন্য এক মাসের ছুটিতে গত ১১ জুলাই ঢাকায় আসেন। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে তাকে থাকতে হয়েছে ১৪ দিন। ২৬ জুলাই বাড়ি পৌঁছান। পরে ২৯ জুলাই বাবা আর ছোট ভাইয়ের কেনাকাটা করতে টেকনাফ সদরের আলো শপিং কমপ্লেক্সে যান। ফেরার পথে ওসি প্রদীপের লোকজন তাকে মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। থানায় গেলে প্রদীপ ১৫ লাখ দাবি করেন।

সরেজমিনে বাড়ি গেলে ভুক্তভোগী মহিউদ্দিনের মা জুবাইদা বেগম বলেন, ছেলেকে থানায় আটকে রেখেছিলেন ওসি প্রদীপ। এ খবর পাওয়ার পর থানায় যাই। তখন আমাদের কাছে বন্দুকযুদ্ধের ভয় দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে সাড়ে চার লাখ টাকা নেন। এ টাকা নেয়ার পরও ৪০০ ইয়াবা দিয়ে কারাগারে চালান করে দেন ওসি।

এমন দুঃখজনক ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জুবাইদা বেগম। তখন তিনি বলেন, ছেলে আমাদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য দেশে এসেছিলেন। সেই ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে কলঙ্কিত করেছেন প্রদীপ। এখন মনকে কিছুতেই বুঝাতে পারছি না। ছেলে কারাগারে। তার কথা মনে হলে আর খেতে পারি না।

জুবাইদা বেগম আরও বলেন, তখন কিছুই করার ছিলো না। উল্টো বন্দুকযুদ্ধ ও গুম করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছিল বারবার। আমার ছেলের মতো টেকনাফের এমন আরো অনেক প্রবাসী ছিলো ওসি প্রদীপের কাছে জিম্মি। এখন আমি চাচ্ছি আমাদের ছেলের মতো পরিণতি আর কোনো প্রবাসী ছেলের যেনো না হয়।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন