২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

অবৈধভাবে ইলিশ শিকারে ৫ পুলিশ সদস্য, অতঃপর…

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৩৮ অপরাহ্ণ, ২১ অক্টোবর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: পটুয়াখালীর বাউফলে অবৈধভাবে ইলিশ শিকার করতে এসে আটক হওয়া বরিশাল বন্দর থানার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে আটক হওয়া পাঁচ পুলিশ সদস্যের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্যকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়া হয়।

এরপর রাত ১০টার দিকে মৎস্য কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন সাংবাদিকদের কাছে মোহাম্মাদ আলী এবং মো. জুলিফিকার নামে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে আটকের বিষয়টি জানালেও কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহাগের হস্তান্তর করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন আটকের পর তিন পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করেছিলেন। আটক হওয়া ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নৌপথে নিয়ে আসার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহাগের সঙ্গে ডাঙায় নামেন। এরপর তারা বোটে উঠতে গড়িমসি করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য মো. সোহাগের কাছে রেখে চলে আসি।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাসের কাছে এমন নির্দেশনা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসি স্যারকে জানিয়েই ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নৌ পুলিশে নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। যেহেতু তারা একটি বাহিনীর সদস্য তাই তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহাগ বলেন, এখানে অবৈধভাবে ইলিশ ধরতে আসা কথাটি সঠিক নয়, তারা সীমানা ক্রস করে আমাদের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল। তাদের আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।

তাদের সঙ্গে ইলিশ মাছ এবং কারেন্ট জাল পাওয়া গেছে এবং এ সময়ে তাদের সঙ্গে জেলা কিংবা উপজেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটির কোনো সদস্যও ছিলেন না তা হলে কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই আপনি তাদের কীভাবে বরিশাল বন্দর থানায় পাঠিয়ে দিলেন- এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন স্যার এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান স্যারের নির্দেশে বরিশাল বন্দর থানার ওসি নিজে এসে আটক ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে গেছেন। এর থেকে বেশি কিছু আমার বলার নেই। এ বিষয়ে বরিশাল বন্দর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজে যাইনি কিন্তু আমি অফিসার পাঠিয়েছিলাম।

এভাবে আটক হওয়া কোনো পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আসা যায় কী না জানতে চাইলে তিনি এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে তারা অপরাধী হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান ওই দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আসার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দুইজন হোক কিংবা পাঁচজন, এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন