১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র: প্রধানমন্ত্রী

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৫৫ অপরাহ্ণ, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২

অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ও আমার পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।

কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করব। তখন অনেকে বলেছে এটা কখনও সম্ভব না।

অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি তারা বলেছে, এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করা এটাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারব, আমরা করেছি।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে এনডিসির কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে গেছেন; সেখানে বলা আছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।

বাংলাদেশ একটি মাত্র দেশ পৃথিবীতে, যে দেশ প্রতিটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে এবং আমরা তা ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি; কারণ যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।

অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব দরবারে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ সালে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে অনুসারে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান, যা বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়াও আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষা আইন ২০১৮ উন্নয়ন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনও অনেকে মুচকি হেসেছিল।

আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। আজ গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করে। এই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে আমাদের সমুদ্রসীমা আইন করে কিন্তু জাতিসংঘ করে ’৮২ সালে।আমাদের ল্যান্ড বাউন্ডারি, অর্থাৎ বাংলাদেশের যে ভূখণ্ডের অধিকার রয়েছে সেই আইনটাও কিন্তু জাতির পিতা করে দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক সংবিধান ঠিক করে দিয়ে যান।

ভারতের সঙ্গে ছিটমহলের বিষয়ে কথা হয়। কিন্তু দুভার্গ্যের বিষয়, মাঝখানে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে উদ্যোগ নেয়।

আজকে আমরা ভারতের সঙ্গে ছিটমহলগুলো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিনিময় করতে পেরেছি। আমাদের যে ভূখণ্ড, আমাদের যে সীমারেখা তা ঠিক করতে পেরেছি। এখন আমরা সীমান্ত সড়কও নির্মাণ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২ কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

ভূমিহীন ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। এ কাজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অবদান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন