২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাউল সাধনা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৩৪ অপরাহ্ণ, ২১ মে ২০২০

হাজার বছর ধরে হিমালয় পর্বত বেয়ে যে বিশাল জলরাশি সুদীর্ঘ পথ অতিক্রমের সময় অগণিত পলিমাটিকে সঙ্গী করে বঙ্গোপসাগরে সাথে মিতালী গড়েছিল, সেই বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁসেই সময়ের ব্যবধানে পলিমাটির মিশ্রণে গড়ে উঠেছিল সুবিশাল বাংলার নব ভূমিরুপ এ ভূমি গঠন প্রক্রিয়া এখনো চলমান। সে ভূমির গঠন প্রক্রিয়া আর ভৌগলিক অবস্থান পরবর্তীকালে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনের সার্বিক জীবন দর্শন ও জীবন পদ্ধতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। বাংলার ভূমি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকে তুলনামূলকভাবে নব গঠিত। বাংলার ভূমির গঠন প্রক্রিয়া আর এর অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট দান করেছে যা সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, জীবনের বোধ আর জীবন দর্শনে পরিলক্ষিত। বহু সময়ে বহু মানব গোষ্ঠীর সমন্বয়ে এখানে যেমন গড়ে উঠেছে নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্রের সমাহার তেমনি বহু সংস্কৃতি, ধর্ম আর দর্শনের মিলনে এখানে গড়ে উঠেছে মানবতাবাদী সমন্বিত সংস্কৃতি যার অনন্য বৈশিষ্টের সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে গোটা দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে।

এ অঞ্চলের অবস্থানগত কারণে প্রকৃতির বিরূপ মনোভাব, বঙ্গোপসাগরের সাইক্লোনের বিধ্বংসী তান্ডবের সাথে টিকে থাকার আপ্রাণ সংগ্রাম, অন্যদিকে উর্বর ফসলা কাদা-পলি মাটি আর জালের মত ছড়িয়ে থাকা নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওর মানুষকে যেমন করেছে সংগ্রামী লড়াকু জীবন দর্শনের সাথে পরিচিত তেমনি করেছে পলি-কাদা নরম মাটিরমত বিনয়ী জীবনবোধে বাস্তববাদী। প্রকৃতির দ্বিমুখী আচরণ এ অচঞ্চলের মানুষের জীবন দর্শনেই ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।

বাংলার মানুষ বহু সময়ে প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন ধর্মমত গ্রহণ করেছেন আবার সময়ের প্রয়োজনে তা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে এ গ্রহণ আর বর্জনে সে নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। কখনো কোন ধর্মের কঠোরতাকে সে আপন করেনি বরং ধর্মের উদারতা সে গ্রহণ করেছে নির্দ্বিধায়। এখানে বিকাশ হয়েছিল হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মমতের কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ধর্মকে মানুষের ওপর প্রাধান্য দেওয়া এবং কঠোরতা আরোপ করার ফলে অপেক্ষাকৃত দ্রুত সময়ে এখানে ইসলামের বিকাশ হয়েছিল তাঁর উদার সুফিজমের কারণে। দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্র থেকে বহুদূরে অবস্থিত বাংলায় ইসলামের দ্রুত এবং ব্যাপক প্রসারের পিছনে সূফিদের উদার মনোভাবই বেশি ভূমিকা পালন করেছিল। এখানে বহু ধর্মের মিলনের ফলে একটি উদার মনোভাব গড়ে উঠে। বিভিন্ন সম্প্রদায় আর বিশ্বাসের মানুষ পাশাপাশি দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করছে। এখানে সম্প্রদায়গত চিন্তার পরিবর্তে অসাম্প্রদায়িক চেতনাই প্রাধান্য লাভ করে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে তাঁর বহু প্রমাণ মেলে। ফলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের ধর্মের নামে অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যার যুদ্ধের বিপক্ষে এদেশের নিরীহ ধর্মপ্রাণ বিভিন্ন ধর্মের সহজ-সরল মানুষ হাতে হাত রেখে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের লক্ষে। যে দেশে সকল বিশ্বাসের মানুষ তাঁর বিশ্বাস অনুযায়ী নিজের জীবনকে নির্বিগ্নে উপভোগ করবে।

এরকম বাংলায়ই বিকাশ লাভ করেছে মানবতাবাদী বাউল গানের। যে গান আর জীবন দর্শনে জাতিভেদ প্রথা, সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বাহিরে গিয়ে মানবতা ও মানুষের কথা বলা হয়েছে। আবহমান বাংলার প্রকৃতি, মাটি আর মানুষের জীবন জিজ্ঞাসা একাত্ম হয়ে উঠে বাউল সাধনায়। সতের শতকের মধ্যভাগে বাউল সংগীতের উদ্ভব হলেও বাউল সম্রাট লালন সাঁই এর মাধ্যমে বাউল গানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তবে এ জীবন দর্শনের মিল পাওয়া যায় প্রাচীন বাংলার চর্যাপদের কবিদের দর্শনের সাথে। মিল খুঁজে পাওয়া যায় মধ্য যুগের কবি দ্বিজ চন্ডীদাসের দর্শনে- “সবার উপরে মানুষ সত্য ,তাহার উপরে না”। মানবতা, মানুষ্যত্ব আর মানব প্রেমে বাউল দর্শনের আলোকমালায় রাঙিয়েছে নরম কমল পলি মাটির বাংলা। বাংলার মাটিতে মানব প্রেমের এ মহামিলনের গান গেয়েছেন বহু বাউল সাঁই ।
তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের ভাব, রাধাকৃষ্ণবাদ, বৈষ্ণব সহজিয়া তত্ব এবং সুফি দর্শনের প্রভাব রয়েছে বাউল দর্শনে। তবে বৈষ্ণব ও সুফি সাধনার সঙ্গে বাউল মতের মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। নিজ দেহের মধ্যে ঈশ্বরকে খুঁজে পাওয়ার তীব্র ব্যাকুলতা থেকেই বাউল ধারার সৃষ্টি। জাগতিক কোন প্রত্যাশার জন্য বাউল সাধন-ভজন করে না। রাষ্ট্র দর্শনে নেই পুঁজিবাদী বা সাম্প্রদায়িক চেতনা বরং মানব কল্যাণ কামনাই বাউলদের সাধনা। উদার মানবতাবাদ, সাম্যবাদ আর অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের স্বপ্নের কথা বহু আগেই বলে গেছেন বাউল সম্রাট লালন শাহ। তিনি বলেন- “এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে। যে দিন হিন্দু মুসলমান/ বৌদ্ধ খ্রিস্টান/জাতি গোত্র নাহি রবে/ শোনায়ে লোকের বুলি/ নেবে না কাঁধের কুলি/ ইতর আতরাফ বলি দূরে ঠেলে না দিবে/ আমির ফকির হয়ে এক ঠাই/ সবার পাওনা খাবে সবাই/আশরাফ বলিয়া রেহাই/ তবে কেউ নাহি পাবে”।

গোটা বাংলা জুড়ে বাউলদের বিস্তার থাকলেও অঞ্চলভেদে তাদের মধ্য বাহ্যিক পার্থক্য বিদ্যমান। বাউল সাধনায় রয়েছে বিভিন্ন ধর্মমতের প্রভাব।

লোকায়িত মরমি সুর, ভাবের গভীরতা, সুরের মাধুর্য আর সার্বজনীন মানবিক আবেদন বাউল সংগীতকে দিয়েছে অনন্য স্থান। সিরাজ সাঁই, লালন ফকির, ভোলা শাহ, কাঙ্গাল হরিনাথ, হাসান রাজা, আব্দুল করিম বাউল গান চর্চাকে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় করেন। বিশ্বকবি রবীদ্রনাথ ঠাকুর লালন দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। আমাদের জাতীয় সংগীতে রয়েছে বাউল গানের প্রভাব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই লালন তথা বাউল গানকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে দেন।

বাউল সংগীত একটা দর্শন। এটি সাধনার বিষয়। যারা বাউল চর্চা করেন তাদের রয়েছে নিজস্ব আখড়া। যেখানে বহু মানুষ যায় জীবনের গান শুনতে। সেখানে চর্চা হয় মানবতার গান, মানুষের গান। অসাম্প্রদায়িক চেতনার গান। বাউলদের জীবন-যাপন সহজ-সরল। ভিক্ষা করেই তাঁর জীবন-যাপন। ভিক্ষা না পেলেও তাঁর কোন দুঃখ নেই। পুঁজিবাদী চিন্তা তাঁদের নেই। যা বাউল চর্চাকে অনন্য বৈশিষ্ট দিয়েছে।

২০০৫ সালে ইউনেস্কো বাউল গানকে “দি রিপ্রেজেন্টিটিভ অব হিউম্যানিটি”র তালিকাভুক্ত করে যা বাংলাদেশকে সম্মান এনে দেয়। বাউল গানকে উল্লেখ করা হয় বিশ্ব মানবতার ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে তার মূলভিত্তি হিসেবে যে অসাম্প্রদায়িক, সমাজতান্ত্রিক, ধর্ম নিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছিল তার শিকড়/ভিত্তি যে এ সমাজে বহু গভীরে যুগ যুগ ধরে বিদ্যমান, এটা যে হঠাৎ আমদানি করা কোন আদর্শ নয় তা বাউল গানের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি এবং বাউল গানের দর্শনের ব্যাপক জনভিত্তিতে প্রমাণ মিলে।

বাউল সাধকরা কখনোই পুজিবাদী বা পুঁজিবাদের পক্ষে ছিলেন না। জাগতিক প্রাপ্তিতে তাঁদের কখনোই আগ্রহ ছিল না। কিন্তু পৃথিবী বদলে গেছে। পুঁজিবাদের বিষক্ত বাতাস পশ্চিপ ইউরোপ আর আমেরিকার সীমানা পেরিয়ে দুনিয়ার প্রতিটি জনপদে পৌছে গেছে বহু আগেই। পুঁজিবাদের সর্বগ্রাসী মনোভাব দুনিয়ার বহু সাম্যবাদী শান্তিপ্রিয় মানুষের চিন্তা-চেতনা আর জীবনাচরণকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। পুঁজিবাদের বিষক্ত থাবার সাথে নতুন করে মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে সাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুঁজিবাদ আর সাম্প্রদায়িকতা একই সরল রেখায় অভিন্ন যাত্রায় চলছে। পুঁজিবাদ আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যারা মানবতা আর সাম্যবাদের গান গায় তারা এদের সম্মিলিত পেশি শক্তির সম্মুখীন হয় প্রায়শই। সাম্প্রদায়িকতা আর পুঁজিবাদের পেশি শক্তির সামনে অনেক ক্ষেত্রেই উদার মানবতাবাদী ও সাম্যবাদী চিন্তার অধিকারীরা টিকতে পারেন না।

বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করেছিল একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে কিন্তু প্রায় পঞ্চাশ বছরের যাত্রায় সে দিনে দিনে সাম্প্রদায়িক, অসহিষ্ণূ আর পুঁজিবাদের অনুসারী হয়ে উঠেছে। ফলে এখানে বিভিন্ন চিন্তার মানুষের সে বৈচিত্রপূর্ণ সমাহার ছিল তা প্রায়শই হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের শিষ্য বাউল রনেশ ঠাকুরের আখড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যায় তার নিজের লেখা দুই হাজারের বেশি বাউল গানের সংগ্রহ। পুড়ে যায় পরম যতেœর সাধন যন্ত্র। প্রায় পঞ্চাশ-একশ বছরের বহু বাউল গানের সংগ্রহ নিমিষেই আগুনে ছাই হয়ে যায়। পুঁজিপতি হওয়ার সুযোগ থাকার পরেও বাউল রনেশ আর তার ভাই ভিন্ন পথে হাটলেন। বাউল সাধনাকেই নিজের জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের বাড়িতেও এর আগে হামলা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে এ হামলার পিছনে সাম্প্রদায়িক শক্তির এবং স্থানীয় পুঁজিপতিদের হাত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বাউল সাধকদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে ধর্মীয় বিশ্বাস আর সাম্প্রদায়িক মনোভাবকে কাজে লাগানো হচ্ছে। বাউলদের জীবন আচরণে যে আলাদা বৈশিষ্ট আছে তা অনেকেই জোর করে বদলে দিতে চায়। ফলে পত্রিকায় সংবাদ আসে বাউল সাধকদের লম্বা চুল জোর করে কেটে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আখড়া ভেঙে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ গুলো কোন সুস্থ সমাজের লক্ষণ না। চিন্তা আর জীবন পদ্ধতিতে যে বৈচিত্র্য বাংলার সমাজে আবহমানকাল থেকে চলমান ছিল তা হুমকির সম্মুখীন।

বিশ্বায়ন আর ইন্টারনেটের অবাধ প্রবাহে যখন নতুন প্রজন্মের একটা অংশ বিদেশি সংস্কৃতির মোহে আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছিল। তারা এমন এক সংস্কৃতির সাথে মিশে যাচ্ছিল যার সাথে এ অঞ্চলের মাটি, মানুষের কোন গন্ধ নেই, নেই শিকড়ের সাথে কোন মেলবন্ধন। এমন এক অন্ধকার সময়ে নব হাতিয়ার রুপে হাজির হয় বাউল গান, ভাটিয়ালি গান , মুর্শিদি-মারেফাতি গান যা নতুন প্রজন্মকে দেয় নব উদ্দীপনা। তরুণরা নতুন করে শিকড়ের সন্ধান খুজে বাউল ,ভাটিয়ালি, মুর্শিদি গানে। তারুণ্যের নব কন্ঠে বেজে উঠে, খাঁচার ভিতর অচীন পাখি কেমনে আসে যায়ৃৃ। তরুণরা দল বেধে যাওয়া শুরু করে বাউলদের আখড়ায়। খুজে ফিরে নিজ মাটি আর মানুষের কথা আর গল্পের গান। তরুণদের কাছে বাঙলার অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনাকে তুলে ধরতে হবে। নিজের সংস্কৃতিকে তাদের সামনে ফুটিয়ে তুলতে হবে যাতে তারা জানতে পারে নিজ দেশের সংস্কৃতির বৈচিত্র।

এ ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সামনে থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে থামিয়ে দিতে হবে। বাংলার মাটি-জল আর বহু সংস্কৃতির মিলনে এখানে যে উদারবাদী মানবিক বাউল মতবাদের উদ্ভাব হয়েছে তার ধারাবাহিক চর্চা চলমান রাখতে হবে। কোন সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে নত শিকার করা যাবে না। সরকারের এ ক্ষেত্রে বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। শুধু আগুনে পোড়া বাড়ির বদলে নতুন বাড়ি তৈরি করে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না বরং যারা এ অপকর্ম করছে তাঁদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর না ঘটে। কারণ এ লড়াইটা শুধু বস্তুগত না বরং সংস্কৃতিগত। ফলে এ বৈশিষ্ট হুমকির মুখে পরলে বাংলাদেশ তাঁর অস্তিত্বের সঙ্কটে পরবে। রাষ্ট্র শুধু বস্তুগত উপাদানে টিকে থাকে না। যদি তাই হত তাহলে ১৯৭১ সালে উন্নত সামরিক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদেরকে প্রায় নিরস্ত্র বাঙ্গালিদের কাছে নির্মম পরাজয় বরণ করতে হত না। ফলে লড়াইটা সংস্কৃতির ।

কলাম লেখক-
আবুল বাশার নাহিদ
লেকচারার, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী

44 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন