১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

অস্থায়ী বেদি, তাও জুতা পায়ে ফুল দিলেন কবি-সাহিত্যিক, নেতাকর্মীরা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:২২ অপরাহ্ণ, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: যুক্তরাষ্ট্রে বেহাল অবস্থায় পালন করা হলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এই দিনটিতে ভাষা শহীদদের স্মরণে তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পরে ফুল দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই সচেতন প্রবাসীরা নিন্দার ঝড় তুলেছেন।

গতকাল শুক্রবার মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি পালনে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। এতে অংশগ্রহণ করে প্রায় তিনশতাধিক বাংলাদেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে অঙ্গরাজ্যগুলোতে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়েই ফুল দিতে আসেন মুক্তিযোদ্ধা, কবি, সাহিত্যিক,‌ সাংবাদিক, কূটনীতিবিদ, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণির প্রবাসী বাংলাদেশি।

ফুল দিয়ে সম্মান প্রদান বা শহীদদের প্রতি নীরবতা পালনে যারা এসেছিলেন তাদের ফটোসেশন বা সেলফি তোলারও প্রতিযোগিতাতে দেখা গেছে। অভিযোগ উঠেছে কোনো কোনো রাজ্যে শহীদ মিনারে ফুল দিতে চাঁদাও তোলা হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, এটাই নাকি নিয়ম। তাই এতে কারও কোনো আপত্তি নেই।

সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়তেই দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা নিন্দা জানিয়েছেন। চাঁদা তুলে অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার আরও কিছু রাজ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে। শহীদদের সম্মানে ফুল দিয়ে নীরবতা পালনও করা হবে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, কোনো অনুদান নয়, বরং চাঁদা দাবি করে এসব অনুষ্ঠানের অর্থ আদায় করা হচ্ছে।

নিউইয়র্ক প্রবাসী বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে জুতা পায়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল ও পুষ্পমাল্য প্রদানের এই প্রথা কে কবে চালু করেছিল তা জানেন না তারা। অনুষ্ঠান আয়োজনে চাঁদা দাবির ব্যাপারেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

তাদের মন্তব্য, শহীদ মিনার বা বেদি অস্থায়ী হোক, কিন্তু জুতা পায়ে সেখানে ফুল দিতে যাওয়া শহীদদের প্রতি অসম্মানের সামিল। এসব করে তাদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে। অতি সত্তর এমন অযাচিত কাজ বন্ধ করতে সংগঠনগুলোকে জানাবেন তারা।

চাঁদার ব্যাপারে তারা বলেন, এসব ব্যবসায়ী মনোভাব বা আর্থিক লেনদেনও বন্ধ করতে হবে। আমন্ত্রিত সংগঠনগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার বদলে চরম উপহাস কাম্য করেন না তারা।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন