২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

অ্যালকোহল পানে খেলোয়াড়সহ তিন বন্ধুর মৃত্যু

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২০ অপরাহ্ণ, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: কুষ্টিয়ায় এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে পান করে একসঙ্গে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। একই কারণে তাদের আরও তিন বন্ধু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের এনএস রোড সংলগ্ন পাবলিক মাঠ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন জিহাদুর রহমান সাজিদ (২১), ফাহিম হোসেন (২১) ও পাভেল ইসলাম (২৩)। তারা তিনজনই বন্ধু। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিন বন্ধু। তারা হলেন সুরুজ (২০), শান্তি (২২) ও আতিকুল (২৩)।

মৃত জিহাদুর রহমান সাজিদ বিকেএসপির বাস্কেট বল খেলোয়াড় ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মৃত মফিজ রহমানের ছেলে, ফাহিম হোসেন থানাপাড়া এলাকার সাগর হোসেনের ছেলে ও পাভেল একই এলাকার আরমান ইসলামের ছেলে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বন্ধু ফাহিমের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজিদ, পাভেল , সুরুজ, শান্তি ও আতিকুল শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে মিলিত হয়। এ সময় স্পিড এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে পান করে ছয় বন্ধু। কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। পরে তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজিদ, ফাহিম ও পাভেলের মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বলেন, বিকেলে ছয় বন্ধু একসঙ্গে হাসপাতালে এসে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানায় ডিম খাওয়ার পর থেকে তাদের মাথা ঘুরছে, শরীরের ভেতর অস্থির লাগছে। ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হলে তাদের জিজ্ঞাসা করলে স্পিড এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে অ্যালকোহল মিশিয়ে পান করার কথা স্বীকার করে ছয় বন্ধু।

পরে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। সুরুজ নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মৃত সাজিদের মামা পিয়াস বলেন, গত মাসে ভাগনে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছিল। বিকেএসপির বাস্কেট বল খেলোয়াড় সাজিদ। পাশাপাশি নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।

তিনি বলেন, শহরের কোর্ট স্টেশনের পেছনের রাফি হোমিও হল থেকে ১০০ টাকায় কাচের বোতলে থাকা অ্যালকোহলজাতীয় কিছু কিনেছিল তারা ছয় বন্ধু। পরে তা খেয়ে অসুস্থ হয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এরা সবাই তরুণ। তারা অ্যালকোহলজাতীয় দ্রব্য কোথায় পেল বা কে বিক্রি করল বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন