২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার, সংসদে প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪৯ অপরাহ্ণ, ২২ জানুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকার যথাযথ আইনি সংস্কার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করণের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার সুনিশ্চিত করা আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মাঝে এই উপলব্ধি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যে সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং কোন অপরাধীই অপরাধ করে পার পাবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ৭৫ পরবর্তী সময়ে এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও কলঙ্কিত দিন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় যে সকল খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে বা আশ্রয় গ্রহণ করে আছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

আইন শৃঙ্খলায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান সাফল্য হলো- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা। বর্তমান সময়ে মাদক সমস্যা সমাজের একটি বিষফোঁড়া। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। মাদক সংক্রান্ত মামলা সমূহের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছি। মাদকের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও বর্তমানে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

সংসদ নেতা বলেন, সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত অপরাধ বিচারের লক্ষ্যে ৯৫টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে, তার প্রমাণ চাঞ্চল্যকর ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা। মাত্র ৬২ কার্যদিবসে এ মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিতকল্পে বিচার কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ মেয়াদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৬ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ৩৭ জন বিচারপতি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং অধস্তন আদালতে ৬৭১ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১০০ জন সহকারী জজ নিয়োগের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে যেমন বহুমাত্রিক অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি প্রযুক্তি ব্যবহার করেই অপরাধীদেরকে আইনের জালে ধরে ফেলা হচ্ছে। সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান করে দেশে আইনের

শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জন্য সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন