১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনা ভূলুণ্ঠিত করার লক্ষ্যে : মওদুদ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৫৩ অপরাহ্ণ, ১২ নভেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: বিএনপিতে যত মুক্তিযোদ্ধা আছে আওয়ামী লীগে এত মুক্তিযোদ্ধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, তারাই (আওয়ামী লীগ) বলছে, তাদের দল এখন অনুপ্রবেশকারী দিয়ে ভরে গেছে। অর্থাৎ তারা মুক্তিযোদ্ধা না অনুপ্রবেশকারী। তাহলে এখন কি ধরে নিতে হবে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে না। বরং যে স্বাধীনতার জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি যুদ্ধ করেছি সেই স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে ভুলণ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে ‘বেগম জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা এখন মাঠে নেই। আমাদেরকে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয় না। তারপরও সরকারের মধ্যে আমরা এক রকম অস্বস্তি দেখতে পাচ্ছি। এর কারণটা কী? এর কারণ হলো তাদের দুঃশাসন, অপশাসন, দুর্নীতি, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে যে, আজকে এই অপকর্মের ভারই তাদের পতন ঘটবে।

তিনি বলেন, আজকে তারা স্বাধীনতার চেতনার নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে। সেই সংজ্ঞা হলো— স্বাধীনতার চেতনা মানেই হলো একদলীয় শাসন, ভোট চুরি করে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকতে পারবে না, আইনের শাসন থাকতে পারবে না এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে পারবে না। আমরা ২৪ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। এখন মাঝে মধ্যে ভাবতে হয়, আমরা কেন এই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম !

১১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, এসব ভিসিদের তো শিক্ষার্থীদের সম্মান করার কথা ছিল। তাদের তো আদর্শপুরুষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সম্মান রক্ষা করতে পারেন নাই। তাই শিক্ষার্থীরা তাদের সম্মান করেনি।

ভিসিরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে আর আমাদের সরকারপ্রধান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলছে যে, তারা দুর্নীতির প্রমাণ করতে না পারলে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেবেন। যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তিনি যদি স্বপদে বহাল থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা কোনোভাবে সম্ভব নয়।

উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, এই উন্নয়ন প্রকল্পর অর্থ কি কোনো ব্যক্তিগত অর্থ? এই প্রকল্পতো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গলের জন্য। এই প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করে দেয়ার এই যে একটা মানসিকতা তিনি প্রকাশ করেছেন, এতেই প্রমাণ সরকারের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, এটা মনে রাখবেন যে, বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করা সম্ভব নয়। কারণ সরকারের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তার জামিনে মুক্ত হওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে। বেগম জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলন। আর এর মাধ্যমেই বেগম জিয়া মুক্ত হবেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান প্রমুখ।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন